প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনী তেল ব্যবসা, এক্সক্লুসিভ ২৪ ঘণ্টা
প্রকাশ্য দিবালোকে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি তেল ব্যবসা। কীসের মদতে? এর নেপথ্যে রয়েছে কারা ? খুঁজতে গিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিনের বেলাতেই ট্যাঙ্কার থেকে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে তেল। পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। নগদ টাকা দিয়েই বেআইনিভাবে হচ্ছে তেল পাচার।
প্রকাশ্য দিবালোকে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি তেল ব্যবসা। কীসের মদতে? এর নেপথ্যে রয়েছে কারা ? খুঁজতে গিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিনের বেলাতেই ট্যাঙ্কার থেকে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে তেল। পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। নগদ টাকা দিয়েই বেআইনিভাবে হচ্ছে তেল পাচার।
তেল চুরি, দেখুন এক্সক্লুসিভ ভিডিও
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজ ট্রাঙ্ক রোড। রাস্তার ধারে পরপর একাধিক পেট্রোল পাম্প। আর এখানেই তেল মাফিয়াদের অসাধু চক্রের কারবার। প্রকাশ্য দিনের আলোয় প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরম করে চলছে তেলের চোরা কারবার।
প্রশ্ন উঠছে, কীসের মদতে এত বেপরোয়া তেল মাফিয়ারা। পুলিস প্রশাসন সবই নাকি এদের পকেটে। সোজা-সাপটা জানিয়ে দিলেন সেকথাও।
পরিমল নস্কর। বেআইনি তেল ব্যবসায় জনৈক গোপাল ঘোষের সহকারী। দাবি করেছেন পুলিস নাকী জানে সবটাই। সেই জন্য পুলিস নাকী পায় মাসোহারাও। শুধু তাই নয় বর্তমান শাসকদের ক্ষমতায় নিয়ে আসায় তাদেরেও ভূমিকা ছিল বলে দাবি করলেন তিনি।
পরিমল নস্কর আবার তেল মাফিয়া গোপাল ঘোষের সহকারী। কে এই কে এই গোপাল ঘোষ? দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাটানগরের বাসিন্দা গোপালবাবু পুলিসের খাতায় ফেরার। অভিযোগ, দুহাজার বারো সালের তেরোই এপ্রিল বালিতে তেলের ট্যাঙ্কার হাইজ্যাক করে চালককে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকী দুহাজার তেরোর সতেরোই নভেম্বর গোপাল ঘোষের নামে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে পুলিস।
পুরাতন ডাকঘরের জমিতে পেট্রোল পাম্প তৈরির অনুমতি চেয়েছেন পুলিসের খাতায় ফেরার গোপাল ঘোষ। এনিয়ে বিস্তর চিঠি-চাপাটিও করেছেন তিনি । প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের খাতায় ফেরার অভিযুক্ত কীভাবে এই আবেদন জানাতে পারেন।
নাকের ডগায় বজবজ থানা। অথচ তার সামনেই এই বিশাল পাচারচক্র। তেলমাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। নির্বিকার প্রশাসন। তাহলে কি প্রশাসনের মদতেই এই বিশাল চক্র চালাচ্ছে তেলমাফিয়ারা? বেআইনি এই কারবারের পেছনে আদতে কারা রয়েছে, তা কি সত্যিই অজানা পুলিস-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের? না কি পরিমল নস্করের দাবিই সত্যি? এখন প্রশ্ন উঠছে এই নিয়েই।