নাম রাজনীতিতে ইন্দিরা ভবন
এবার ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন করে নজরুল ভবন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মহাকরণে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবিষ্যতে এই বাড়িতে কবি নজরুলের স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা গড়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এবার ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন করে নজরুল ভবন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মহাকরণে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবিষ্যতে এই বাড়িতে কবি নজরুলের স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা গড়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই জ্যোতি বসুর ব্যবহৃত সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সেখানে নজরুলের স্মৃতিতে সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হবে। এখন ইন্দিরা ভবন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে রয়েছে। নাম পরিবর্তনের আগে ইন্দিরা ভবনকে নিয়ে আসা হচ্ছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের হাতে। উনিশশো একাত্তর সালে তৈরি হয় এই ভবনটি। তখন ভবনের নাম ছিল পর্ণকুটির। উনিশশো বাহাত্তর সালে এআইসিসি-র অধিবেশন হয় রাজ্যে । অধিবেশনের জন্য এই ভবনেই কয়েকদিন ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তারপর থেকেই ভবনের নামকরণ হয় ইন্দিরা ভবন। উনিশশো পঁচাশি সালে সল্টলেকে সিপিআইএম-এর পার্টি কংগ্রেস হয়। তখন কিছুদিন ওই বাড়িতে ছিলেন জ্যোতি বসু। তারপর 1১৯৮৮ সালেও সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে কিছুদিন ওই বাড়িতে থাকেন জ্যোতি বসু। তারপর উনিশশো নব্বই সালের তেরোই ডিসেম্বর থেকে ইন্দিরা ভবনেই থাকতে শুরু করেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি এই বাড়িতেই ছিলেন। বাম আমলে পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ইন্দিরা ভবনে জ্যোতি বসুর স্মৃতিতে সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দল। মঙ্গলবারই ভবনটি দলের তরফে হস্তান্তর করা হয় রাজ্য সরকারকে। হস্তান্তরের সময় জ্যোতি বসুর ব্যবহৃত সব জিনিসই দলের পক্ষ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সিপিআইএম-এর তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত সরকারি জিনিসপত্র জ্যোতিবাবু ব্যবহার করতেন, তার দামও সরকারকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেই হস্তান্তরের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন করছে সরকার।