২০০ দিন পর শিল্প

ক্ষমতায় এলে কৃষির মতো শিল্পকেও সমান গুরুত্ব দেবে তাঁর সরকার। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনী ইস্তাহারে বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Dec 7, 2011, 06:10 PM IST

ক্ষমতায় এলে কৃষির মতো শিল্পকেও সমান গুরুত্ব দেবে তাঁর সরকার। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনী ইস্তাহারে বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তাহারে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, প্রথম দুশো দিনে শিল্পের জন্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করবে। তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছিল প্রতিটি জেলায় তৈরি হবে শিল্প তালুক। রাজ্যজুড়ে তৈরি করা হবে তিনশোটি আইটিআই। দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদা, বাঁকুড়া ও হুগলীতে গড়ে তোলা হবে বস্ত্রশিল্প কেন্দ্র। কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনায় বৈদ্যুতিক পাখার কারখানা তৈরির প্রতিশ্রুতি ছিল ইস্তাহারে। বর্ধমান, নদীয়া ও দুই চব্বিশ পরগনায় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের বিকাশ ঘটানোর কথা বলা হয়েছিল। এছাড়াও, জেলায় জেলায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সেরামিক, পাটশিল্পের মতো একাধিক শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলা হয় নির্বাচনী ইস্তাহারে। 

কিন্তু, ক্ষমতায় আসার দুশো দিন পরও, এইসব প্রতিশ্রুতি পালন তো দুর অস্ত, লক্ষ্যপূরণে কাজের একচুল অগ্রগতিও ঘটেনি। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছিল, রাজ্যে বনধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা খোলার ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেবে সরকার। পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়, এমন কারখানার জমিতে তৈরি হবে নতুন শিল্প। যদিও, গত দুশো দিনে বনধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার একটিরও তালা খোলেনি। রুগ্ন শিল্পের জমিতে বিনিয়োগ টানতে সাফল্যের মুখে দেখেনি সরকার। এতো গেল, ইস্তাহার অনুযায়ী সরকারের দুশো দিনের প্রতিশ্রুতির মূল্যায়ন।

নতুন সরকারের জমিনীতি দেশের শিল্পমহলের মনে বেশকিছু সংশয় তৈরি করেছে। একইসঙ্গে, কারখানা না গড়ে জমি ফেলে রাখলে সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে। এই লক্ষ্যে, আটাত্তরটি সংস্থার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। শিল্পমহল এই পদক্ষেপকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বিনিয়োগ টানতে অন্যান্য রাজ্যের মতো সরকারের তরফে কোনও আকর্ষণীয় ইনসেটিভ স্কিমও ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়াও, সড়ক-বিদ্যুত সহ একাধিক পরিকাঠামোর অবস্থা নিয়ে খুশি নয় শিল্পমহল।

.