'প্রেমের কথা বললেও ওরা আড়ি পাতবে,' সরব কলকাতা
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথেও নামতে চলেছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই তাঁরা রাণুছায়া মঞ্চে জমায়েত করবেন। সেই জমায়েতের পর কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে চলেছেন কলকাতার তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা।
!['প্রেমের কথা বললেও ওরা আড়ি পাতবে,' সরব কলকাতা 'প্রেমের কথা বললেও ওরা আড়ি পাতবে,' সরব কলকাতা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/12/22/164304-cd.jpg)
মৌমিতা চক্রবর্তী
কেন্দ্রের ফতোয়ার বিরুদ্ধে কলকাতায় সরব বুদ্ধিজীবীরা। যেকোনও নাগরিকের কম্পিউটারে নজরদারি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশের পর সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। কারও বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর। কেউ আবার প্রশ্ন তুললেন, ব্যক্তিগত বলে কি আর কিছুই থাকবে না!
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ওপরেও নজরদারি চালাবে দেশের ১০ গোয়েন্দা সংস্থা, নির্দেশিকা কেন্দ্রের
তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথেও নামতে চলেছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই তাঁরা রাণুছায়া মঞ্চে জমায়েত করবেন। সেই জমায়েতের পর কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে চলেছেন কলকাতার তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা।
বিশিষ্ট লেখক সুবোধ সরকারের কথায়, "জরুরি অবস্থার চেয়েও এ অবস্থা ভয়ঙ্কর।" এরপরই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, "ছেলেমেয়েগুলো কি শান্তিতে প্রেমের কথাও বলতে পারবে না?" তিনি বলেছেন, "আমরা খুব তাড়াতাড়ি সরকারের এই ফতোয়া পোড়াব।"
একইরকম মত আরেক বুদ্ধিজীবী মন্দাক্রান্তা সেনের। ইতিমধ্যে মন্দাক্রান্তা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এর প্রতিবাদে একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটির নাম দিয়েছেন, 'শকুন'। লেখিকার কথায়, "আমায়, আপনাকে সরকার চাইলে যেকোনও মুহূর্তে দেশদ্রোহী তকমা দিতে পারে। আমার ব্যক্তিগত বলে কিছুই থাকবে না। এটা ভয়ঙ্কর।"
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত কম্পিউটারে গোয়েন্দা নজরদারি নির্দেশিকার প্রত্যাহারের দাবি মমতার
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা সামনে আসার পর সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। দেশজুড়ে বিভিন্ন মহল থেকেও এ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব।