কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামলেন বুদ্ধিজীবীরা
আরও একবার প্রতিবাদে গর্জে উঠল শহর। আরও একবার কলকাতা প্রমাণ করল তার বিবেক মৃত নয়। কামদুনির কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ রাজপথে পা মেলালেন হাজার হাজার মানুষ। রাজনৈতিক পরিচিতি, বিশ্বাস দূরে ঠেলে রেখে কামদুনির তরুণীর উপর নারকীয় অত্যাচারের বিচার চাইল এই শহর।
আরও একবার প্রতিবাদে গর্জে উঠল শহর। আরও একবার কলকাতা প্রমাণ করল তার বিবেক মৃত নয়। কামদুনির কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ রাজপথে পা মেলালেন হাজার হাজার মানুষ। রাজনৈতিক পরিচিতি, বিশ্বাস দূরে ঠেলে রেখে কামদুনির তরুণীর উপর নারকীয় অত্যাচারের বিচার চাইল এই শহর।
দুপুর থেকেই হাজার হাজার মানুষ জমা হচ্ছিলেন কলেজ স্কোয়ারে। বিকেল ৩টে ১৫ নাগাদ শুরু হয় মিছিল। এ দিনের মিছিলে পস্থিত ছিলেন শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেন, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, সব্যসাচী চক্রবর্তী, তরুণ মজুমদার, তরুণ স্যানাল, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, দেবেশ রায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র, সমীর আইচ, চন্দন সেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়াসিম কপূর, চৈতি ঘোষাল, পাপিয়া অধিকারী, দেবদূত ঘোষ, সুমন মুখোপাধ্যায়ের মত বিশিষ্টজনেরা। অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি মৃণাল সেন। সহ বহু বুদ্ধিজীবীরা। সারা রাজ্য থেকে মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কামদুনি, গাইঘাটা, গেদে থেকে থেকে মানুষ ছুটে এসেছিলেন কলকাতায় মিছিলে পা মেলাতে। উপস্থিত ছিলেন কামদুনি কাণ্ডে মৃতের পরিবারের সদস্যরাও। কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টে ৩০ নাগাদ এসপ্ল্যানেড ছোঁয় মিছিলের মুখ। মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান নিয়ে বচসা শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে। মিছিল আটকে দেয় পুলিস। বিকেল ৫টা নাগাদ মেট্রো চ্যানেলে শেষ হয় মিছিল।
কামদুনি কাণ্ডে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ক্ষতিপূরণ নয়, দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলে কামদুনি থেকেই ধ্বনিত হয়েছে প্রথম প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ। এ দিন সময় যত এগিয়েছে ততই যেন দীর্ঘ হয়েছে এই মিছিলের দৈর্ঘ্য। পথ চলতি মানুষও সব কাজ ফেলে সামিল হয়েছেন এই মিছিলে। শুধু কি কামদুনি? পার্ক স্ট্রিট থেকে গোঘাট, গেদে থেকে কাটোয়া বা আমতা, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমবেত আক্রোশ আছড়ে পড়েছে শহর কলকাতার কংক্রিট বাঁধানো রাজপথে।