'তিন চোখেই' কি লুকিয়ে জোড়াফুল-সারদা যোগসূত্র?

ত্রিনেত্রই কি সারদা-তৃণমূলের যোগসূত্র? খতিয়ে দেখছে সিবিআই। বিতর্কিত এই কোম্পানির কাছ থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়ার কথা কমিশনকে জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মুকুল রায় বলেন, অনুদান নয় তৃণমূল  ওই টাকা নিয়েছিল ঋণ হিসাবে।

Updated By: Apr 10, 2015, 12:01 AM IST
'তিন চোখেই' কি লুকিয়ে জোড়াফুল-সারদা যোগসূত্র?

ব্যুরো: ত্রিনেত্রই কি সারদা-তৃণমূলের যোগসূত্র? খতিয়ে দেখছে সিবিআই। বিতর্কিত এই কোম্পানির কাছ থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়ার কথা কমিশনকে জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মুকুল রায় বলেন, অনুদান নয় তৃণমূল  ওই টাকা নিয়েছিল ঋণ হিসাবে।

ত্রিনেত্র সম্পর্কে তৃণমূলের জমা দেওয়া নথিতে কি তথ্য রয়েছে তা বিশেষভাবে ফোকাস করছে CBI।সিবিআই তৃণমূলের কাছে আয়ব্যয়ের যে নথি চেয়েছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ অনুদান। দলের তহবিলে কত অনুদান জমা পড়েছে তৃণমূলের কাছে তা নির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছে সিবিআই। আর এই অনুদান প্রসঙ্গে CBI-এর রেডারে আসছে  ত্রিনেত্র কনসাল্টটেনসির নাম। কারণ, ২০১৪- র সেপ্টেম্বরে তৃণমূলের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, নির্বাচন কমিশনকে যে হিসেব দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল,  

২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ত্রিনেত্রর কাছ থেকে  ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস

পরবর্তী কালে বিতর্ক  দানা বাঁধে। কারণ ত্রিনেত্রর  অস্বিত্ব নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর  বিতর্ক আরও উস্কে দেন  মুকুল রায়। তিনি জানান, ত্রিনেত্র থেকে পাওয়া টাকা অনুদান নয়। ঋণ হিসাবে ওই টাকা নিয়েছিল দল।

এমনকি,  বিতর্কিত ওই কোম্পানির কাছ থেকে  ২০১৪-র  এপ্রিলেও, তৃণমূলের  তহবিলে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।

তৃণমূলের জমা দেওয়া অডিটে কোনও বেনিয়ম হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।তৃণমূলের জমা দেওয়া নথি থেকে এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না পেলে ফের নথি চেয়ে পাঠাতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। ডেকে পাঠানো হতে পারে খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীকেও।

 

.