Tapas Roy: আমাকে ধরে রাখা কঠিন, তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দল ছাড়ার জল্পনা উসকে দিলেন তাপস!
এনিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তাপস রায় দলের সম্পদ। কোথাও তাঁর ক্ষোভ থাকতে পারে। তাঁকে দলের প্রয়োজন। কোথাও কোনও ক্ষোভ থাকলে তা মিটিয়ে নিতে হবে
প্রবীর চক্রবর্তী: দলে কতদিন থাকব তা সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব। আমাকে ধরে রাখা কঠিন। বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের। তাহলে কি দল ছাড়ছেন তৃণমূল বিধায়ক? এমনই জল্পনা তৈরি হল বিধায়কের একটি ভাইরাল ভিডিয়োকে ঘিরে। ওই ভিডিয়োতে তাপস রায় বলেন, কতদিন দলে থাকব তা দলকে জানিয়েই দেব। আমাকে ধরে রাখা কঠিন। তবে দলকে জানানো উচিত। দলকে জানিয়ে দেব। কেন এমন মন্তব্য তাপস রায়ের? বরানগরের দীর্ঘ দিনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। এমন একজন কেন হঠাত্ এমন মন্তব্য করতে গেলেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-ফিরতি পাক মহারণের আগে একেবারে আগুনে মেজাজে 'স্কাই'
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে উত্তর কলকাতার এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে সংঘাত চলছিল তাপস রায়ের। তিনি যখন উত্তর কলকাতার সভাপতি ছিলেন তখনও তাঁর সঙ্গে ওই নেতার মতান্তর সামনে এসেছে। গোটা বিষয়টি দল জানে। তার জেরেই তাপস রায় দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে, এনিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তাপস রায় দলের সম্পদ। কোথাও তাঁর ক্ষোভ থাকতে পারে। তাঁকে দলের প্রয়োজন। কোথাও কোনও ক্ষোভ থাকলে তা মিটিয়ে নিতে হবে।
অন্যদিকে, এনিয়ে তাপস রায় এনিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, আমি যা বলেছি তা গত নির্বাচনের সময়েও বলেছিলাম। আমার বক্তব্য ছিল বেশিদিন রাজনীতি করা কারও উচিত নয়। এখনও সেই কথা বলেছি। দল কতদিন থাকব তা বলিনি। আমি পার্টিতেই রয়েছি। এমন কথা মাঝে মধ্য়েই বলি। দলের কারও সঙ্গে কোনও মতবিরোধ নেই। রাজনীতি ছাড়ব কী ছাড়ব না তা আমার সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু বেশি দিন কারও রাজনীতি করা উচিত নয়, কথা প্রসঙ্গে এটা বলতে চেয়েছি।
সোমেন মিত্রর অনুগামী বলে পরিচিত তাপস শেষপর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে বরাহনগর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই আসন থেকে তিনবার বিধায়কও হয়েছেন তাপস। তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, এবার বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁকে আর মন্ত্রিসভায় রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।