ওয়েব ডেস্ক: গরিবের মেয়ে। টাকা নেই, তাই তদন্তও নেই। এই ভাষাতেই পুলিসি তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি। তিন বছর আগে আসানসোলে এক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এই মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। বিষয়টি যেন এবার নিজে দেখেন পুলিস কমিশনার। নির্দেশ হাইকোর্টের। তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরিব হওয়াই অভিশাপ। মামলায় সর্বস্ব চলে যায়। তবু জোটে না বিচার। এমন হা-হুতাশ আদালত চত্বরে কান পাতলে বহুক্ষেত্রে শোনা যায়। এবার কিন্তু কোনও বিচারপ্রার্থী নন, একথা বললেন হাইকোর্টের বিচারপতি নিজে। আসানসোলে বছর কুড়ির তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের মামলা। দু হাজার তেরোর নভেম্বরে পুকুর থেকে বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তের দায়িত্বে আসানসোলের হীরাপুর থানা। তিন বছর পুরনো এই মামলা নিয়েই মঙ্গলবার তোলপাড় হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে ওঠে মামলা। তিনি বলেন, 'এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও কেন মৃতার ভিসেরা সংরক্ষণ করা হল না?' 'গরিবের মেয়ে, টাকা নেই। তাই তদন্তও নেই।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বহিরাগত অটো চালকদের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরই সাংসদের!


বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, কেন মামলার তদন্তকারী অফিসার এবং অটোপসি সার্জেনরা ভিসেরা সংরক্ষণের কথা বললেন না? যদি মৃত্যুর কারণ বিষ প্রয়োগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ভিসেরা রিপোর্টে তদন্তে অনেক সাহায্য করত। পুলিসকে উদ্দেশ্য করে জয়মাল্য বাগচি বলেন, আপনারা তদন্ত শেষ করে দিয়েছেন, অথচ ডাক্তার ভিসেরা রিপোর্ট চাইলেন না! ডাক্তার কি শুধু আপনাদের লেখায় সই করেই কাজ সারছেন?


আরও পড়ুন  সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্যে আজও জারি ধরপাকড়