জ্যোতি বসু নগর: নাম পরিবর্তনের রাজনীতি
দুহাজার দশে রাজারহাটের নাম বদলে হয় জ্যোতি বসু নগর। সম্প্রতি সেই নাম খারিজ করে দিয়েছে নতুন সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চরম রাজনৈতিক অসৌজন্যতা বলে মনে করছে বামেরা। এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে চলেছে বিরোধীরা।
দুহাজার দশে রাজারহাটের নাম বদলে হয় জ্যোতি বসু নগর। সম্প্রতি সেই নাম খারিজ করে দিয়েছে নতুন সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চরম রাজনৈতিক অসৌজন্যতা বলে মনে করছে বামেরা। এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে চলেছে বিরোধীরা।
দুহাজার দশ সালের তেসরা ডিসেম্বর বিধানসভায় নিউটাউন-রাজারহাটের নতুন নামকরণের বিল পাস হয়।
নতুন নাম হয় জ্যোতি বসু নগর। সেদিন বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কেরাও এই নতুন নামকরণের পক্ষে রায় দেন।
তবে ওই দিন বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জ্যোতি বসু নগর নামটি খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে বামেরা।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মূর্তি উন্মোচন হবে। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে সেই অনুষ্ঠানে সরকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে উপস্থিত থাকবে বামেরা।
তবে জ্যোতি বসু নগর নামকরণ বাতিল ইস্যুতে শুধু মুখে সরকারের সমালোচনাই নয়, প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে চলেছে বামেরা। এদিন সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
নতুন সরকার জ্যোতি বসুর নামে নিউটাউনের নামকরণ বাতিল করলেও এনিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে সরকারের অন্দরেই।
বিশেষত, কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং বিধায়ক মনে করেন, এই ইস্যুতে অযথা রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়বে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে রাজারহাটে নতুন নামকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানস ভুঁইঞা, প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো প্রদেশের কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব।