'আবকি বার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার', অমিতের সভার সুর বাঁধলেন কৈলাস
শনিবার অসমের নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে রাস্তা রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় অমিত শাহের সভা ঘিরে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। অমিতের সভার আগে টুইটারে রাজ্যের শাসক দলকে হুঙ্কার দিয়েছেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। শনিবারই অসমের নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় জেলায় জেলায় রাস্তা রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তারা। ফলে শনিবার রাজ্যে মেগা ভোল্টেজ লড়াই হতে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক লড়াইয়ে টুইটারে নয়া মাত্রা সংযোজন করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি লিখেছেন, পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে তা ফেটে যায়। সর্বভারতীয় সভাপতির হুঙ্কার, ''আবকি বার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার''। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে আবকি বার মোদী সরকার স্লোগান দিয়ে ভূভারত কাঁপিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলার প্রেক্ষিতে এই স্লোগান শোনা যায়নি অমিতের মুখে। কৈলাসের কথা ইঙ্গিত মিললে, শনিবারের সভায় হয়তো অমিতের মুখে 'আবকি বার' শোনা যেতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
जब भी पाप का घड़ा भरता है,उसका फूटना निश्चित है..बंगाल मे चारो ओर हो रही हिंसा का अंत समीप है।
ममताहीन @MamataOfficial जी से, #WestBengal की जनता त्रस्त हो चुकी है
राष्ट्रीय अध्यक्ष श्री @AmitShah जी ने भरी है हुंकार..अबकी बार #WestBengal मे #BJP सरकार।#PoschimbongeShahAschen
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) August 10, 2018
অমিতের সভাস্থলে ইতিমধ্যেই শোভিত হয়েছে তৃণমূলের পতাকা ও ফ্লেক্স। বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, অমিত শাহের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে পোস্টার না খোলার জন্য। তাই একটা পোস্টারও খোলা হবে না। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য সাফ বলেছেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি থাকবে না তো কার থাকবে?
ওদিকে আবার একইদিনে অসমের নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে রাস্তা রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল। ফলে জেলায় জেলায় অশান্তির আশঙ্কা থাকছে। সেই আশঙ্কাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। মুখ্যসচিবকে বিজেপি নেতৃত্ব চিঠিতে লিখেছে, হঠাত্ই আগামিকাল রাস্তা রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অমিত শাহের বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির লক্ষ্যেই এমনটা করা হয়েছে। পুলিস বা শাসক দল বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভয়ঙ্কর হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে দায়ী থাকবে রাজ্য প্রশাসন ও শাসক দল। বাংলার গণতন্ত্রের ঐতিহ্য বজায় রাখতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ করছি। বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার যাতে ব্যবস্থা নেয়, তার নির্দেশ দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একখানি চিঠি দিয়েছে বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শনিবারের বারবেলায় রাজ্যবাসী মেগা রাজনৈতিক যুদ্ধের সাক্ষী হতে চলেছে। নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতাকে নিশানা করবেন অমিত, ঠিক তখনই তার বিরোধিতায় রাস্তায় নামবেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন- মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন কর্ণ, তখন কেন তাঁকে ৩টি বর দিয়েছিলেন কৃষ্ণ? জানেন কি?