দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, আদ্যাপীঠে শক্তির আরাধনা, আলোর উত্সবে মাতল রাজ্য
দ্বীপান্বিতা চৈতন্যময়ীর আরাধনায় মাতল বাঙালি। দেবীপক্ষের শেষ উত্সবে সামিল দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন। ভৌম অমাবস্যার রাতে আজ মহাশক্তির আরাধনা। সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে মানুষের ঢল। ভক্তদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই কালীঘাট চত্বরে। একই ছবি দক্ষিণেশ্বর আর আদ্যাপীঠেও। বীরভূমের তারাপীঠেও গভীর রাতে বিশেষ পূজোর আয়োজন। সেই উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই পুজোর ডালি হাতে মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তেরা।
ওয়েব ডেস্ক: দ্বীপান্বিতা চৈতন্যময়ীর আরাধনায় মাতল বাঙালি। দেবীপক্ষের শেষ উত্সবে সামিল দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন। ভৌম অমাবস্যার রাতে আজ মহাশক্তির আরাধনা। সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে মানুষের ঢল। ভক্তদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই কালীঘাট চত্বরে। একই ছবি দক্ষিণেশ্বর আর আদ্যাপীঠেও। বীরভূমের তারাপীঠেও গভীর রাতে বিশেষ পূজোর আয়োজন। সেই উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই পুজোর ডালি হাতে মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তেরা।
কালীপুজোয় ভক্তদের ঢল নেমেছে বীরভূমের তারাপীঠে। নিত্যপুজোর পাশাপাশি আজ মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজো, আরতি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। কালীপুজোয় তারাপীঠের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে জেলা পুলিস। কালীপুজোয় প্রতিবছরই বাগুইআটির দেশবন্ধু নগর হাইস্কুল পাড়া কৈশরিকে দর্শকদের জন্য থাকে নতুন চমক। এবার শ্যামা মায়ের ছেষট্টিটি রূপ তুলে ধরা হয়েছে তাঁদের পুজো মণ্ডপে। আজ পঁষট্টি জন পুরোহিত মাতৃ আরাধনা করেন। এবছর উনচল্লিশ বছর বয়সে পা দিল এই পুজো। কালীর আরাধনায় দিনভর মুখরিত রইল দক্ষিণেশ্বরের আদ্যাপীঠের মন্দির। পুজো দিতে সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড়ে সরগরম ছিল মন্দির প্রাঙ্গন। ভৌম অমাবস্যায় আদ্যাশক্তির আরাধনার মুখরিত হল দক্ষিণেশ্বরের আদ্যাপীঠের মন্দির।
প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯২১ সালে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ আদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠা করেন আনন্দ চন্দ্র ভট্টাচার্য নামে এক আয়ুর্বেদ চিকিত্সক। মন্দিরের জনশ্রুতি বলে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও স্বয়ং দেবী কালীর স্বপ্নাদেশে এই সঙ্ঘ তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৯২৮ সালে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। ১৯৬৭ সালে সম্পূর্ণ হয় মন্দির। এখানে দেবী কালী পূজিত হন আদ্যাশক্তি হিসেবে। হিন্দু ধর্মবিশ্বাস বলা হয়, আদ্যাশক্তি থেকেই সমস্ত জীবজগতের উত্পত্তি। তাই এখানে একে অপরকে সম্বোধন করা হয় ভাই অথবা বোন হিসেবে।