Kamduni Case: অপ্রত্যাশিত! ১০ বছর অপেক্ষার পর কামদুনিকাণ্ডে 'লঘু দণ্ড'...
শুক্রবার হাইকোর্ট তাঁর রায়ে জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমিন আলী মুক্তি পেয়েছেন যার ফাঁসির সাজা হয়েছিল নিম্ন আদালতে। এছাড়াও ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১০ বছর বুকে পাথর রেখে অপেক্ষা করছিল কামদুনি। অবশেষে শুক্রবার রায় জানাল হাইকোর্ট। যেই রায়ে চরম হতাশ কামদুনি। সকলেই মনে করছেন গুরু পাপে 'লঘু দণ্ড' হাইকোর্টের।
শুক্রবার হাইকোর্ট তাঁর রায়ে জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমিন আলী মুক্তি পেয়েছেন যার ফাঁসির সাজা হয়েছিল নিম্ন আদালতে।
১০ বছর অপেক্ষার পর কামদুনির নারকীয় ঘটনার 'লঘু দণ্ড' আদালতে! আপনিও কি তাই মনে করেন?
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) October 6, 2023
এছাড়াও ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Newtown Murder: নিউটাউনে পড়ুয়ার হাড়হিম হত্যাকাণ্ড, হাত-পা বাঁধা সুটকেসবন্দি দেহ উদ্ধার
আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় জানিয়েছেন, যাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যেভাবে যুক্ত ছিলেন তাতে তাঁদের সাত বছরের কারাদন্ড হতে পারে। তাই যেহেতু তাঁরা ইতিমধ্যেই ১০ বছর কারাবাস করেছেন তাই ১০০০০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হয় এক ছাত্রীকে। কবে? ২০১৩ সালের ৭ জুন। সেই ঘটনার কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্যে। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
আরও পড়ুন: Kamduni Case: কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজাই কি বহাল? শুক্রে রায় ঘোষণা হাইকোর্টে
অভিযুক্ত ছিল মোট ৯ জন। কিন্তু নিম্ম আদালতে মামলা চলাকালীনই মৃত্যু এক অভিযুক্তের। বেকসুর খালাস পেয়ে যায় আরও দুই জন। কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বাকি ৬ জন। ৩ জনকে মৃত্য়দণ্ড, এবং ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। যে ৬ জন দোষী সাব্যস্ত হয়, হাইকোর্টে সাজা কমানোর আবেদন জানান তারা। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় বৃহস্পতিবার।
কামদুনিকাণ্ডে প্রথম থেকেই নির্যাতিতার হয়ে মামলা লড়েছেন আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায়। শীর্ষেন্দু সিংহরায় বৃহস্পতিবার বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চলেছে। অনেকবার সরকারি কৌঁসুলি বদল হয়েছে। আগামীকাল রায় দান করবে কলকাতা হাইকোর্ট’।
শুক্রবার রায়দানের পরে আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় বলেন, যে এই রায়ে তাঁরা হতাশ। তিনি আরও বলেন, নির্ভয়ার ঘটনার পরেই কামদুনির এই ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে নির্ভয়ার জন্য আইপিসি-র সেকশন বদলে গেল সেখানে কামদুনির এই ঘটনায় এই রায়ে তাঁরা হতাশ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)