গ্রেফতার খাটালকাণ্ডে অভিযুক্ত শম্ভুনাথ কাউ
অবশেষে গ্রেফতার ধাপার মাঠপুকুরকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শম্ভুনাথ কাউ। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া থেকে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃমমূল কাউন্সিলারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। আজই তাঁকে স্থানীয় আদালতে পেশ করা হবে। এরপর ট্রানজিট রিমাণ্ডে শম্ভুনাথ কাউকে কলকাতায় আনা হবে।
মাঠপুকুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউকে গ্রেফতার করল পুলিস। ঘটনার প্রায় পনের দিন পর তাকে গ্রেফতার করতে পারল পুলিস। অন্যদিকে আজ রাতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্যামল মুখার্জি নামে শম্ভুনাথের আরও এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই নিয়ে এফআইআরে নাম থাকা নজনের মধ্যে মাত্র চারজন ধরা পড়েছে।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার বালিয়ার সিকন্দরপুরে হানা দেয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের সাত সদস্যের একটি দল। সেখানে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কাউ। ওই বাড়ি থেকে রাত এগারোটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে। তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও বেশ কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।
আজই তাঁকে বালিয়া সিজিএম আদালতে পেশ করা হবে। এরপর ট্রানজিট রিমাণ্ডে শম্ভুনাথ কাউকে কলকাতায় আনা হবে।
মার্চের ২০ তারিখ ধাপার মাঠপুকুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে খুন হতে হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা অধীর মাইতিকে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শম্ভুনাথ কাউ। ঘটনার পর থেকেই তিনি ছিলেন এলাকা ছাড়া।
বিশেষ সূত্র থেকে পুলিস জানতে পারে যে শম্ভুনাথ কাউ রয়েছেন বিহারে। কিছু দিন আগেই জিঞ্জিরা বাজার থেকে ৫৯ লক্ষ টাকা ও সোনা সহ গ্রেফতার হন কাউয়ের আত্মীয় দেবাশিস সরকার। উদ্ধার করা হয় কাউয়ের মোটর সাইকেলটিও। কাউয়ের এক আত্মীয়ের থেকে খবর মেলে বিহারে রয়েছেন কাউ। খবর পাওয়ার পর বুধবারই বিহারের উদ্দেশে রওনা দেয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের একটি বিশেষ দল। যদিও সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের দেখা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার সিকান্দরপুর থেকে গতকাল রাতে শম্ভুনাথ কাউকে গ্রেফতার করা হয়।