আয় কমছে পুরসভার, টান পড়ছে ভাঁড়ারেও
আয় কমছে পুরসভার। বাড়ির কর, জলকর, বিজ্ঞাপন, সব দফতরের আয়েই ভাটা। খরচ চালাতে ভাঙতে হয়েছে পুরসভার ফিক্সড ডিপোজিটও। মেয়রের দাবি, চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনের কারণে কয়েক মাস কাজ হয়নি পুরসভার কয়েকটি দফতরে। সেই কারনেই আয়ে ঘাটতি।
ওয়েব ডেস্ক: আয় কমছে পুরসভার। বাড়ির কর, জলকর, বিজ্ঞাপন, সব দফতরের আয়েই ভাটা। খরচ চালাতে ভাঙতে হয়েছে পুরসভার ফিক্সড ডিপোজিটও। মেয়রের দাবি, চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনের কারণে কয়েক মাস কাজ হয়নি পুরসভার কয়েকটি দফতরে। সেই কারনেই আয়ে ঘাটতি।
পুরসভার ভাঁড়ারে টান। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে বাড়ির কর বাবদ আয়। আয় কমেছে সব দফতরেই।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে কমেছে পুরসভার আয়--
২০১৩ সালের মার্চ থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরসভার আয়বৃদ্ধির হার ছিল ১৮ শতাংশ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪.৫ শতাংশে।
২০১০ সালে বাম পুরবোর্ড চলে যাওয়ার সময় পুরসভার গচ্ছিত তহবিলে ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সেই অঙ্ক কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ কোটিতে। কিন্তু কেন খরচ করতে হচ্ছে গচ্ছিত তহবিলের টাকা? মেয়রের দাবি, এবছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে মাস তিনেক সেভাবে কাজ করতে পারেনি পুরসভা। সেকারণেই কমেছে আয়।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, পরিকল্পনা ছাড়াই এলোমেলো ভাবে টাকা খরচ করাতেই হাত পড়েছে জমানো টাকায়।
আয় কমেছে বিজ্ঞাপন দফতরেও। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিজ্ঞাপন থেকে পুরসভার আয় ছিল ২০ কোটি টাকা। এবার তা কমে হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
বিল্ডিং বিভাগে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জমা পড়েছিল ২৯ কোটি টাকা। এবার কমে হয়েছে ১৯ কোটি টাকা।
জল সরবরাহ বিভাগ থেকে গত বছরে আয় হয়েছিল ষোল কোটি টাকা। এবার কমে হয়েছে ১২ কোটি। বিল্ডিং দফতরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, শহরে বেআইনি বাড়ি বাড়ছে। তাতে নজর নেই পুরসভার। আর সেই কারণেই বাড়ির নকশা অনুমোদনের টাকা জমা পড়ছে না। চলতি বছরে পুরসভার বাড়ির কর আদায়েও ভাটা পড়েছে।