জমি জটে জেরবার কেএমডিএ

শুধু শিল্পই নয়, রাজ্যের নতুন জমিনীতির ফলে এবার গুরুতর সমস্যার মুখে কেএমডিএ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সিদ্ধান্ত, উন্নয়নমূলক প্রকল্প ছাড়া জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। এর ফলে, সংস্থার আয়ের রাস্তা কার্যত বন্ধ হতে চলেছে। বিকল্প আয় কোন পথে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

Updated By: Jan 10, 2012, 01:27 PM IST

শুধু শিল্পই নয়, রাজ্যের নতুন জমিনীতির ফলে এবার গুরুতর সমস্যার মুখে কেএমডিএ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সিদ্ধান্ত, উন্নয়নমূলক প্রকল্প ছাড়া জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। এর ফলে, সংস্থার আয়ের রাস্তা কার্যত বন্ধ হতে চলেছে। বিকল্প আয় কোন পথে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ১৯৭০ সালে গঠিত হয় ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা সিএমডিএ। ক্যালকাটা কলকাতা হওয়ার পর সংস্থার নতুন নাম হয় কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ। ১৯৮৯ সালে টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং অ্যাক্টের অধীনে আসার পর থেকেই সংস্থার আয় বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ও উপনগরী তৈরি করে আয় করে এই সংস্থা। বিভিন্ন হাইওয়ের টোলট্যাক্স সংগ্রহ, বিনোদন পার্ক তৈরি, ইএম বাইপাসের ধারে হোর্ডিং থেকেও উপার্জন করে কেএমডিএ।
সরকার পরিবর্তনের পর বলা হয়েছে, আবাসন প্রকল্পের জন্য রাজ্য জমি অধিগ্রহণ করবে না। ফলে, বাজার দরে জমি কিনতে সমস্যা বাড়বে। এই অবস্থায়, নিজেদের হাতে থাকা জমিতে বহুতল তৈরি করে অবিলম্বে তা বিক্রি করতে চায় কেএমডিএ। এবিষয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শীঘ্রই প্রস্তাব পাঠাবেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফ্ল্যাট বিক্রি করে যা আয় হবে তাতে কিছুদিন চলবে। কিন্তু, পরবর্তীকালে কী ভাবে সংস্থা চালানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তায় মন্ত্রী ও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

.