Kolkata Child Death: খুন করে রান্নাঘরে রাখা বস্তাবন্দি দেহ, পাশেই খাবারের আয়োজন অভিযুক্তের
সূত্রের খবর, পুলিসি জেরায় ধৃত অলোক কুমার জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তারপর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে। শিশুটিকে ধর্ষণ করার কোথাও জানিয়েছে সে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস।
![Kolkata Child Death: খুন করে রান্নাঘরে রাখা বস্তাবন্দি দেহ, পাশেই খাবারের আয়োজন অভিযুক্তের Kolkata Child Death: খুন করে রান্নাঘরে রাখা বস্তাবন্দি দেহ, পাশেই খাবারের আয়োজন অভিযুক্তের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/27/412977-tantrik-kolkata.png)
অয়ন ঘোষাল: নৃশংস খুনের পরেও রান্না বসিয়েছিল অলোক। জেরায় আগাগোড়াই সে নির্বিকার বলে জানা গিয়েছে। পুলিসের সন্দেহ ছিলই। শেষ পর্যন্ত তিলজলায় নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ পুলিসের জেরায় ধৃত যুবক স্বীকার করে নিল, খুনের আগে শিশুটিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ করে সে। ধৃতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা করেছে পুলিস। ধৃতকে সোমবারই আদালতে তুলবে পুলিস।
সূত্রের খবর, পুলিসি জেরায় ধৃত অলোক কুমার জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তারপর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে। শিশুটিকে ধর্ষণ করার কোথাও জানিয়েছে সে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Kolkata Child Death: তান্ত্রিকের নির্দেশে বলি তিলজলার শিশু! চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতের
তল্লাশি চলাকালীন আবাসনের তিন তলায় অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিস। সেই সময় রান্না করছিল অলোক কুমার নামে ওই অভিযুক্ত। রান্নাঘরের ভিতরেই একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। বস্তা খোলার চেষ্টা করতেই বাধা দেয় অভিযুক্ত অলোক কুমার। এতেই সন্দেহ দৃঢ় হয় পুলিসকর্মীদের। বস্তা খুলতেই শিশুটির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: President Kolkata Tour: প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফর, কলকাতায় আসছেন রাষ্ট্রপতি
তিনজলা কাণ্ডে ধৃতের চাঞ্চল্যকর দাবি। পুলিসি জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, তাঁর এখনও কোনও সন্তান নেই। তাঁর স্ত্রী এখন গর্ভবতী। আগে বেশ কয়েকবার মিসক্যারেজ হয়ে যায় স্ত্রীর। নিমতলায় ঘাটের এক তান্ত্রিক নাকি কোনও শিশুকে বলি দেওয়ার কথা বলে ছিলেন তাঁকে। তান্ত্রিক জানিয়েছিলেন এমন করলে তবেই সন্তান হবে। তাই এই খুন বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত। যদিও অভিযুক্ত সত্যি বলছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
মেয়েটির শরীরের মাথা, কান সহ একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একইসঙ্গে স্ট্র্যাঙ্গুলেশন মার্কও মিলেছে শরীরে। সোমবার শিশুটির দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।