Primary Recruitment Scam: 'মারাত্মক প্রবণতা, অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না', নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির
'এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া এবং তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এসব করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এসব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না।'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাইমারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি। আদালতের কাছে ইডি দরবার করে, বিপজ্জনক ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে এই রাজ্যে। বিচারের জন্য একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। অভিযুক্তদের 'ওভার স্মার্ট' অ্যাকশনের বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ইডি আদালতে আরও জানায়, কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানানো হয়নি। তারা দুটি চিঠির তথ্য জানতে চায়। প্রসঙ্গত, আগে নিম্ন আদালতের বিচারককে, তারপর হেস্টিংস থানায় চিঠি দেয় কুন্তল ঘোষ। ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি বলেন, 'এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া এবং তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এসব করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এসব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না।'
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তনের ঘটনায় প্রকারান্তরে মানিক ভট্টাচার্যর ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা সচিব। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে এই সংস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যর ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা সচিব।
ইডি সূত্রে খবর, রত্না বলেন, 'মানিকবাবু-ই সব জানতেন। পুরো ডিলটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি কে বা কারা চালায়, তা একমাত্র মানিকবাবু জানেন। তিনি-ই নির্দেশ দিতেন, তিনিই দেখা করতেন। আমরা জানতাম কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর বলে কাউকে মেল করা হচ্ছে এবং মেল আসছে। এর বাইরে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে ওই সংস্থার ব্যাপারে আমরা কিছু জানতাম না।'
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ এপ্রিল, মানিক ভট্টাচার্যকে এজলাসে ডেকে পাঠিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে একান্তে ১০ মিনিট কথা বলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। ২০১৬-র নিয়োগ নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি। বাইরের কোনও সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল কিনা, জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেইসময় মানিক বন্দ্যোপাধ্য়ায় উত্তরে জানান, সংস্থার নাম মনে নেই।
আরও পড়ুন, Mid Day Meal Scam: মিড ডে মিলে বাংলায় ১০০ কোটির নয়ছয়! রিপোর্ট কেন্দ্রের...