`জীবনের লড়াইয়ে` ফিরে টিম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা একরত্তির পরিবারের
দিন কয়েক আগে, নদীয়ার(Nadia) মহাদেবপুরের বাসিন্দা পূজা দেবনাথ শিশুটির জন্ম দেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু জন্মের পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন শিশুর হৃদযন্ত্রে(Heart) সমস্যা রয়েছে। চারটি স্টেন্ট(Stent) বসাতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একটি ফেসবুক পোস্ট(Facebook Post), আর তা থেকেই একরত্তির(Infant) প্রাণ বাঁচাতে সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল টিম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এবার শিশুটির চিকিৎসা শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করতেই, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ(TMC) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) এবং তাঁর টিমের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করলেন শিশুটির বাবা জয়ন্ত দেবনাথ(Jayanta Debnath)।
জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জয়ন্তবাবু জানান, "চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee), তাঁর দলের সদস্যরা এবং এই গোটা কর্মকাণ্ডে যারা সেদিন থেকে সামিল হয়েছেন, তাঁদের মিলিত প্রচেষ্টায় আজকে আমরা লড়াইয়ে দাঁড়াতে পেরেছি। নাহলে তো তখনই হেরে যেতাম। এই ঋণ কোনও ভাবেই শোধ করা যায় না।"
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে, নদীয়ার(Nadia) মহাদেবপুরের বাসিন্দা পূজা দেবনাথ শিশুটির জন্ম দেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু জন্মের পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন শিশুর হৃদযন্ত্রে(Heart) সমস্যা রয়েছে। চারটি স্টেন্ট(Stent) বসাতে হবে। খরচের বহর শুনে কার্যত ভেঙে পড়েন শিশুটির বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা। এমনকী পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেও কোনও সুবিধা না পেয়ে, এক পরিচিতের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেন টলিউডের অত্যন্ত পরিচিত এডিটর অনির্বাণ মাইতির(Anirban Maity) সঙ্গে। তিনিও শিশুটিকে বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন কাজে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করেও সুরাহা না হওয়ায়, নিজের ফেসবুক ওয়ালে গোটা ঘটনাটি জানিয়ে সাহায্যের আর্তি চেয়ে একটি পোস্ট করেন। সঙ্গে শিশুটির একটি ছবিও দেন।
আরও পড়ুন- টলিউড এডিটরের পোস্ট, একরত্তির প্রাণ বাঁচাতে মধ্যরাতেই ঝাঁপিয়ে পড়ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম
অনির্বাণ মাইতি(Anirban Maity) জানান, এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের(TMC-Youth Congress) সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য(Debangshu Bhattacharya)। গোটা ঘটনাটি জানার পর শিশুটির পরিবারের সদস্যদের নাম ও যোগাযোদের তথ্য নেন। শিশুটিকে কীভাবে সুস্থ করে তোলা যায় তার জন্য চেষ্টা করার জন্যই এই চেষ্টা বলেও অর্নিবাণবাবুকে আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতা।
দেবাংশু(Debangshu Bhattacharya) জানান, শিশুটির বিষয়ে বিস্তারিত শোনার পর তিনি ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে যোগাযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সর্বভারতীয় সম্পাদক(TMC General Secretary) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) সঙ্গে। ১০ মিনিটের মধ্যে শিশুটির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল তিনি নিজেই। জানা গেছে, তাঁর টিমের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যেই শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে কলকাতার মুকুন্দপুরের(Mukundapur) একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন- Madan Mitra: 'দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কোথায়? কোথায় কথা বলব?' এবার বিস্ফোরক মদন
শিশুটির এই জটিল সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। শিশুটির বাবা জয়ন্ত দেবনাথ জানান, ইতিমধ্যেই একটি অপারেশন হয়েছে। আজই ভেন্টিলেটর থেকে তাকে বের করা হয়েছে। তবে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির পরিবারকে।
এদিকে, এই ঘটনায় অত্য়ন্ত কৃতজ্ঞ পরিবারের সদস্যরা। জয়ন্তবাবু জানান, "এখনও লড়াই শেষ হয়নি। তবে, এই পর্যন্ত যে পৌঁছেছি তার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের সদস্যদের সাহায্য আমাদের কাছে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার সমান।"