লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদন: দাউদ যোগ আরও জোরালো । লটারি-কাণ্ডে প্রতারণার টাকা পাকিস্তানে পাচার  করত ডি কোম্পানি। টার্গেট ছিল আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজন। তাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলত কারবার। তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  

 সাত রাজ্য থেকে লুঠ করা লটারির টাকা, পাকিস্তানে সাইফোনিং করেছে দাউদ নেটওয়ার্ক। বলছেন তদন্তকারীরা।

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দাউদ ইব্রাহিমের সংগঠিত সিন্টিকেট  ক্রাইম চলছিল দিল্লি,  মেঘালয়, অরুণাচল, উত্তরপ্রদেশ,  বিহার,  কেরল এবং ওড়িশায়। কলকাতা থেকে দুবাই , দুবাই থেকে পাকিস্তান, সেখান থেকে ফের ভারত। এইভাবেই লটারি প্রতারণা কাণ্ডের টাকা পাচার হতো। লটারি-কাণ্ডের পর্দাফাঁসে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কারা টার্গেট ছিল? কী ভাবে চলত লটারি চক্র?

দাউদ নেটওয়ার্কের টার্গেট ছিল আর্থিক  ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজন। প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারীদের টাকার টোপ দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলানো হতো। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে, ভুল বুঝিয়ে সেই অ্যাকাউন্ট ও এটিএম কার্ড ভাড়া নিত প্রতারকরা।  তছরুপের টাকা সেই অ্যাকাউন্টেই জমা রাখা হতো। পরে দুবাই হয়ে সেই টাকা পৌছে যেত করাচি।

এ রাজ্যে লটারি জাল কতটা ছড়িয়েছে? সে তথ্যও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এরকম ১,৬৭২ টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে

পাকিস্তান থেকে এই সংক্রান্ত  ইনকামিং কল এসেছে ১,১৬২ বার, আউটগোয়িং কলের সংখ্যা ৩০৫

ডি-কোম্পানির এই কৌশলের কথা আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানায় ইন্টালিজেন্স ব্যুরো। সতর্ক করা হয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৭ রাজ্যকে।  তারপরেই গোলাবাড়ির এটিএমের তদন্তে আন্তর্জাতিক প্রতারণা-চক্রের পর্দাফাঁস।