নেই স্যাঁতস্যাতে ঘর, উধাও ধুলোর পুরু আস্তরণ, নয়া রূপে ফিরল আলিপুর থানার মালখানা ঘর
সেরা থানা পাবে আকর্ষণীয় ইনাম।
পিয়ালি মিত্র: কলকাতার পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্রর নির্দেশ। ভোল বদলাচ্ছে কলকাতা পুলিসের সমস্ত থানাগুলোর মালখানার। আলিপুর থানাতেও জোরকদমে চলছে মালখানার শুদ্ধিকরণ। এই নিয়ে প্রতিযোগিতারও ব্যবস্থা করেছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার।
কোথাও আলো, কোথাও অন্ধকার। স্যাঁতস্যাতে ঘর। তাকগুলোতে ধুলোর পুরু আস্তরণ। ধুলোয় ঢাকা ফাইল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। কলকাতা পুলিস কমিশনারেটের অন্তর্গত থানার মালখানাগুলোতে ঢুকলে এতদিন এই ছবি চোখে পড়ত। তার মধ্যেই বসে ডিউটি করতেন মালখানা বাবু। কোনও পুরনো কেসের ফাইল বা বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী খুঁজতে, কালঘাম ছুটতো পুলিস কর্মীদের। কলকাতা পুলিশের থানাগুলোকে মালখানার এই চিত্র বদলের জন্য সম্প্রতি একটি নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। চালু হয় ই-মালখালা। থানাগুলোকে উৎসাহিত করতে প্রতিযোগিতারও ঘোষণা করেন সৌমেন মিত্র। সেরা থানাকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার।
আরও পড়ুন: লেকটাউনে বৃদ্ধাকে খুনের কিনারা, উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
আরও পড়ুন: রাজ্য BJP-র মিছিলে ‘না’ কলকাতা পুলিসের, ‘কর্মসূচি হবেই’, সিদ্ধান্তে অনড় গেরুয়া শিবির
পুলিস কমিশনারের নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যেই মালখানাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে আলিপুর থানা। নতুন ব়্যাক বসানো হয়েছে। ঘরগুলোকে পরিষ্কার করা হয়েছে। নজরদারিতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। অনুমতি ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৯৬৮ থেকে বিভিন্ন মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে আলিপুর থানার মালখানায়। আদলতের অনুমতি নিয়ে ইতিমধ্যে ১০৬৫টি সামগ্রী নষ্ট করা হয়েছে। থানা সূত্রে খবর, ই-মালখানা চালু হওয়ায় মামলার প্রয়োজনে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে বাজেয়াপ্ত হওয়া
আলিপুর থানার ওসি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, থানার মালখানায় বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অনেক গয়না ও টাকা রয়েছে। রাজ্যের আর্মস অ্যাক্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে, আগ্নেয়াস্ত্রগুলোকে কাশীপুর গান অ্যান্ড সেল কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হবে। গয়নাগুলো লালবাজারের সেন্ট্রাল মালখানায় জমা করা হবে। সেখানে নিলামে তোলা হবে গয়না। নোটবন্দির কারণে বাজেয়াপ্ত হওয়া পুরনো টাকার নোটগুলো RBI-এর কাছে জমা দেওয়া হবে। সেই টাকার সমমূল্য হাতে এলে, তা রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।