Behala Murder: খুন করেও নির্লিপ্ত ছিল সঞ্জয়, মদ-মাংস সহযোগে করে পার্টিও
দুই ধৃতকে ১২ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠাল আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেহালার পর্ণশ্রী জোড়া খুনের কিনারা করতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটেছে কলকাতা পুলিসের। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর অবশেষে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। নিহত গৃহবধূ সুস্মিতা মণ্ডলের ২ মাসতুতো ভাই। একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। পুলিস জানিয়েছে, জোড়া খুন করেও নির্লিপ্ত ছিল সঞ্জয় দাস। শনিবারও বাড়িতে স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধূর সঙ্গে পার্টি করে অভিযুক্ত। মদ, চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস সহযোগে উদ্দাম আনন্দে মেতে ওঠেন। হত্য়ার কোনও ছাপই তার চোখেমুখে ছিল না।
সোমবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে পুলিস। ধৃতদের ১২ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সঞ্জয় দাসের বাড়িতে গিয়ে কার্যত অবাক হন তদন্তকারীরা। পুলিস দেখে, শনিবার রাতে বাড়িতে মদ, চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস সহযোগে উত্তাল পার্টিতে ব্যস্ত সঞ্জয় দাস। পরিবারকে নিয়ে পার্টিতে মেতে উঠেছে সে। এছাড়া তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে নিহত গৃহবধূ সুস্মিতা মণ্ডলের বাড়িতে চা খায় সন্দীপ দাস ও সঞ্জয় দাস। তবে পুলিস যাতে বুঝতে না পারে যে কোনও অতিথি এসেছিল, সেজন্য খুনের পর কাপ ধুঁয়ে রেখে আসে তারা।
আরও পড়ুন: Kolkata: রোমা ঝাওয়া অপহরণে মুক্তিপণের টাকা ভাগের জেরে খুন, যাবজ্জীবন গুঞ্জন ঘোষের
মৃত সুস্মিতা মণ্ডলের স্বামী তপন মণ্ডলকে দ্বিতীয় দফার জেরার সময় গুরুত্বপূ্ণ ক্লু পান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, আর্থিক সমস্য়ায় ভুগছিলেন সঞ্জয় দাস। সেই সূত্রে ধরেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, বাজারে বিপুল টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়ের। সেই ধার মিটবে কী করে! ছোট থেকেই তারা দেখে আসছে সুস্মিতারা অনেকটা বড়লোক। তাই তাকেই শেষপর্যন্ত টার্গেট করে ধৃতরা। তাদের আশা ছিল বোনের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা, গয়না পাওয়া যাবে। সেই আশাতেই খুন।
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীরা আর কত দিন লড়াই করবে? ব্যবস্থা করুন, High Court-এ হাজিরা পর্ষদ সভাপতির
পুলিস আরও জানতে পেরেছে, ক্রাইম থ্রিলার দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন সুস্মিতা। তাই অতিরিক্ত সতর্ক থাকতেন। পরিচয় কেউ না হলে দরজা খুলতেন না। এমনকী সেলসম্যান এলেও দরজা খুলতেন না। তদন্তে উঠে এসেছে ঘচনার দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সুস্মিতার বাড়িতে যায় সন্দীপ ও সঞ্জয়। সেই সময় অনলাইনে ক্লাস করছিল তমোজিত্। তার ঘর বন্ধ করেই খুন করা হয় সুস্মিতাকে। খুনের ঘটনা দেখে ফেলাতেই খুন করা হয় তমোজিৎকে। সুস্মিতা মণ্ডলের মায়েরা ৪ বোন। তার মধ্যে এক বোনের দুই ছেলে সঞ্জয় ও সন্দীপ।