Kolkata Student Death in Visakhapatnam: বিশাখাপত্তনমে পড়তে গিয়ে রহস্যমৃত্যু কলকাতার পড়ুয়ার, খুন বলে দাবি বাবার
Kolkata Student Death in Visakhapatnam: মৃত ছাত্রীর বাবা বলেন, কলেজ থেকে ব্রাঞ্চ হেড ফোন করে জানালেন আমার মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। সেই ফোনেই কন্ফারেন্স লাইনে ছিলেন হোস্টেল ওয়ার্ডেন্ট। তিনি বললেন, ছাদ থেকে নয় সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে
অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। ঘটনার তদন্তে এখনওপর্যন্ত গ্রেফতার ১২ প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া। ধৃত কয়েকজনকে জেরা করেছেন খোদ পুলিস কমিশনার। এর মধ্যেই কলকাতার আরও এক পড়ুয়ার মৃত্যু হল বিশাখাপত্তনমে। রানীকুঠির ওই পড়ুয়া পড়তে গিয়েছিলেন বিশাখাপত্তনমের একটি কলেজে। ওই পড়ুয়ার মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক নয় বলেই দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন-মিডল ফিঙ্গার! প্রয়োজনে সেনা নামিয়ে বহিরাগতদের গর্ত থেকে বের করতে হবে
রানিকুঠির বাসিন্দা রীতি সাহা মাধ্যামিক পাশ করেই ভর্তি হয়েছিলেন বিশাখাপত্তনমের একটি কলেজে। লক্ষ্য ছিল ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার ভালোরকম প্রস্তুতি নেওয়া। গত ১৪ জুলাই কলেজ থেকে রাত এগারোটা নাগাদ বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় চারতলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে রীতির। পরে বলা হয় চারচলা নয়, সিঁড়ি থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে তার।
ওই খবর পাওয়ার পরই বিশাখাপত্তনমে পৌঁছে যান ছাত্রীর বাবা-মা ও দাদা। যে হাসপাতালে রীতিকে ভর্তি করা হয় সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তাকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পরিবারের অভিযোগ, গোড়া থেকেই কোনওরকম সাহায্য করেনি পুলিস। বরং ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। শেষপর্যন্ত ১৬ জুলাই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
এদিকে, ওই মৃত্যু নিয়ে কোর্টকাচারি করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে লড়াই কতা কঠিন হয়ে উঠছে বলে দাবি ছাত্রীর বাবার। মেয়ের উপরে কি র্যাগিং করা হয়েছিল? এনিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না পরিবার। তবে মেয়েকে খুনই করা হয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত পরিবারের লোকজন। তারা চাইছেন এনিয়ে যেন উপযুক্ত তদন্ত হয়। আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়। এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার।
মৃত ছাত্রীর বাবা বলেন, কলেজ থেকে ব্রাঞ্চ হেড ফোন করে জানালেন আমার মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। সেই ফোনেই কন্ফারেন্স লাইনে ছিলেন হোস্টেল ওয়ার্ডেন্ট। তিনি বললেন, ছাদ থেকে নয় সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। সিঁড়ি থেকে পড়েছে শুনে আশ্বস্ত হয়েছিলাম,হয়তো গভীর কোনও চোট হবে না। ওখানে যাওয়ার পথেই খবর পাই যে মেয়েকে ভেন্টিলেশনে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোর চারটের সময়ে ওর নাকি একটা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। আমরা বিভ্রান্ত ছিলাম, এটা মার্ডার নাকি সুইসাইড। কিন্তু ওরা যেসব নথি আদালতে পেশ করেছে তাতে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। এটা খুন।