কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জেরবার শহরতলী, ভুগল শহরও
সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জেরবার শহর ও শহরতলী। উত্তর থেকে দক্ষিণ চেনা জলছবি সর্বত্র। জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতার পিকনিক গার্ডেন, কসবা, পাটুলি ও গড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। পিকনিক গার্ডেনে হাইড্রেনের মুখ খোলা থাকায় রাস্তার জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে নোংরা জল। যার জেরে এলাকায় বাসিন্দাদের চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও।
সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জেরবার শহর ও শহরতলী। উত্তর থেকে দক্ষিণ চেনা জলছবি সর্বত্র। জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতার পিকনিক গার্ডেন, কসবা, পাটুলি ও গড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। পিকনিক গার্ডেনে হাইড্রেনের মুখ খোলা থাকায় রাস্তার জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে নোংরা জল। যার জেরে এলাকায় বাসিন্দাদের চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে অবস্থিত নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্য জুড়ে আজও দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৫ মিলিমিটার। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৯৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ কলকাতারসর্বনিম্ন তাপমাত্রা চৌত্রিশ দশমিক শূণ্য নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম।
শহরে অগাস্ট মাসের বৃষ্টির পরিমাণ ভেঙে দিয়েছে যাবতীয় রেকর্ড। ২০০০ সালের পর ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৬১০ মিলিমিটার। শুধু শহর নয়, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে চলতি বছরে বৃষ্টির ঘাটতিও নেই। প্রায় একযুগ পরে শহরে রেকর্ড বৃষ্টি।
চলতি বছরে অগাস্ট মাসে ২৭ তারিখ পর্যন্ত শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৬১০ মিলিমিটার। এর আগে এই রেকর্ড ছিল দু হাজার সাত সালের নামে। সেবছর গোটা অগাস্ট মাস জুড়ে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৪৭০ মিলিমিটার। ফলে বৃষ্টির পরিসংখ্যানের নিরিখে ২০০৭ সালকে পেছনে ফেলে দিয়েছে দু হাজার তেরো সাল। ৪২% বেশি বৃষ্টি হয়েছে এবছর।
অগাস্ট মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত তিনটি নিম্নচাপ পেয়েছে শহর। আর তাতেই বৃষ্টির পরিসংখ্যান রেকর্ড ব্রেকিং। যদিও এই মুহুর্তে নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে অবস্থান করছে। তার প্রভাবে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। কিন্তু তাতে কী? গত ২৭ দিনের বৃষ্টিতেই একযুগের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড এখন তিলোত্তমার ঝুলিতেই।