স্বামীর জামিনের আবেদন, আদালত চত্বরেই হেনস্থা স্ত্রীর
আদালতে গিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া স্বামীকে ছাড়ানোর আবেদন জানাতে। কিন্তু আদালত চত্বরেই হুমকির মুখে পড়লেন বিচারপ্রার্থী স্ত্রী। রবিবার ২৪ ঘণ্টায় প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল কোমল কাদেল ও সাগর শ্রীবাসের ঘটনা।
আদালতে গিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া স্বামীকে ছাড়ানোর আবেদন জানাতে। কিন্তু আদালত চত্বরেই হুমকির মুখে পড়লেন বিচারপ্রার্থী স্ত্রী। রবিবার ২৪ ঘণ্টায় প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল কোমল কাদেল ও সাগর শ্রীবাসের ঘটনা। কিছুদিন আগে লেকটাউনের বাসিন্দা কোমল কাদেলকে আইনগত ভাবে বিয়ে করেছিলেন ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বাসিন্দা সাগর শ্রীবাস। নিজেদের ধর্মীয় সংগঠন আর্য সমাজেও ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক তাঁরা। ছিল প্রমাণপত্রও। কিন্তু মেয়ের বাড়ির তরফে ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়। আর তার ভিত্তিতেই পুলিস কোনওরকম তদন্ত ছাড়াই ছেলেটিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। বর্তমানে জেলবন্দি ওই যুবক।
প্রায় একমাস জেলবন্দি স্বামীকে ছাড়ানোর আবেদন জানাতেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কোমল। আর সেই জন্যই আদালত চত্বরে হুমকি শুনতে হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে পুলিস। কিন্তু নজিরবিহীন এই ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন আইনজীবীরাও।
ছত্তিশগড়ের আদালতেই কোমল জানিয়েছিলেন তিনি শ্বশুর, শাশুড়ির কাছে থাকতে চান। আদালতও তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় নিজের পরিবারের বিরুদ্ধেই এবার সরাসরি লড়াইয়ে নামতে চলেছেন কোমল। রবিবার ২৪ ঘণ্টায় খবর সম্প্রচাররিত হওয়ার পর অনেকেই রিজয়ানুর কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছিলেন কোমল-সাগরের ঘটনায়। পুলিসের বিরুদ্ধে প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতির স্বেচ্ছাবিবাহে অহেতূক হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু তার পরেও এদিন আদালত চত্বরে হেনস্থা হতে হয় কোমলকে।