রাজনৈতিক কারণেই কি গ্রেফতার কুণাল?
রাজনৈতিক কারণেই কি গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কুণাল ঘোষ? তাঁর গ্রেফতারির পর এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে। বারবার মুখ খুলে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তিনি। শুক্রবারও বিস্ফোরক কিছু বক্তব্য রেখেছেন। কুনাল ঘোষের মুখ বন্ধ করতেই কী গ্রেফতার করা হল তাঁকে? প্রশ্ন উঠছে নানামহলে।
রাজনৈতিক কারণেই কি গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কুণাল ঘোষ? তাঁর গ্রেফতারির পর এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে। বারবার মুখ খুলে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তিনি। শুক্রবারও বিস্ফোরক কিছু বক্তব্য রেখেছেন। কুনাল ঘোষের মুখ বন্ধ করতেই কী গ্রেফতার করা হল তাঁকে? প্রশ্ন উঠছে নানামহলে।
সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের জেরে আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্যে। কেলেঙ্কারির সঙ্গে নাম জড়ায় শাসকদলের বহু নেতা-নেত্রীর। বিতর্ক ধামাচাপা দিতে যৌথভাবে তত্পর হয় শাসক দল ও সরকার। চাপা পড়ে যাওয়া সেই বিতর্ককে নতুন করে জাগিয়ে তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কুনাল ঘোষ। সারদা কেলেঙ্কারিতে তাঁকেই একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করায় মুখ খুলতে শুরু করেন তিনি। পাল্টা চাপ বাড়ায় সরকার। বারবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। ঘটনা পরম্পরায় দল থেকে সাসপেন্ড হন তিনি। তবু মুখ খোলা বন্ধ করেননি কুনাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ফের বোমা ফাটান কুনাল। সরাসরি আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মুকুল রায়, সবাইকেই।
গ্রেফতারির আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল কুনাল ঘোষের। তা নাহলে দিল্লিতে গিয়ে নিজের জবানবন্দি কেন রেকর্ড করাবেন তিনি? শুক্রবার প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করেন। শনিবার তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। কুনাল ঘোষ প্রকাশ্যে যাতে আর মুখ খুলতে না পারেন সেজন্যই কী গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত?