প্রোমোটারের গ্রাসে পূর্বকলকাতার জলাভূমি, চুপ প্রশাসন
প্রোমোটারির গ্রাসে উধাও হয়ে যাচ্ছে পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ জলাভূমি। কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বাইপাসের ধারে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জলাভূমি সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পুলিস প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক জলাভূমি ও মাছের ভেড়ি ভরাট করে অবাধে চলছে প্রোমোটার রাজ।
প্রোমোটারির গ্রাসে উধাও হয়ে যাচ্ছে পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ জলাভূমি। কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বাইপাসের ধারে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জলাভূমি সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পুলিস প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক জলাভূমি ও মাছের ভেড়ি ভরাট করে অবাধে চলছে প্রোমোটার রাজ। ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি।
পনেরই মে বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুরে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে হবে কলকাতার জলাভূমিকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেও যে পূর্ব কলকাতার জলাভূমির ছবিটা কিছু বদলায়নি তা টের পাওয়া গেল শুক্রবার। কলকাতা পুরসভার একশ আট নম্বর ওয়ার্ডের চৌবাগায় প্রোমোটারদের দাপটে উধাও হয়ে গেছে আস্ত একটি ভেড়ি। চোখের সামনে ভেড়ি বুজিয়ে মাঠ হয়ে গেলেও মুখ খুলতে রাজি নন এলাকার বাসিন্দারা। বুজে যাওয়া ভেড়ির ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় প্রোমোটারদের বাইকবাহিনীর হুমকির মুখে পড়তে হল ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকেও।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই জলাভূমি রক্ষা করার জন্য কোনও রকম সক্রিয়তা দেখায়নি পুলিস প্রশাসন। ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জলা বোজানো নিয়ে ২২১টি এফআইআর করেছে রাজ্য সরকারের পরিবেশ দফতর। কিন্ত একটি ছাড়া বাকি একটি ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। সমস্যা আছে স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী জাভেদ খানও। দিনের পর দিন সরকারের উদাসীনতা ও প্রোমোটারদের লোভের শিকার হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে কলকাতার ফুসফুস এই বিস্তীর্ণ জলাভূমি।