রাজপথে মিছিলে ভাঙল ব্যারিকেড ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু বামেদের
ছয়ই ডিসেম্বরের পর এগারোই ডিসেম্বর। ফের গণশক্তি নিয়ে কলকাতার রাজপথে নামল বামেরা। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে ভেঙে গেল পুলিসের ব্যারিকেড। যা দেখে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বলছেন, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু।
ওয়েব ডেস্ক: ছয়ই ডিসেম্বরের পর এগারোই ডিসেম্বর। ফের গণশক্তি নিয়ে কলকাতার রাজপথে নামল বামেরা। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে ভেঙে গেল পুলিসের ব্যারিকেড। যা দেখে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বলছেন, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু।
নবান্নে গিয়ে ফিশফ্রাই খাওয়ার খোঁটা এখন অতীত।
বড়দিনের মাসে রাস্তায় জনসমুদ্র দেখে সুদিনের স্বপ্ন দেখছে রাজ্য বামফ্রন্ট।
ছয়ই ডিসেম্বর বামেদের সম্প্রীতি দিবস কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। তার পাঁচদিনের মাথায় আবার জনজোয়ার। এবার রানি রাসমণি মোড়ের সমাবেশে।
কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সভা। তার পরতে পরতে জড়িয়ে রইল রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ। প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়েছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। শেষে ঠিক হয়, সভা হবে রানি রাসমণি মোড়ে। সময় দুপুর দুটো।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এসেও রাসমণি মোড়ে ঢুকতে পারেনি বামেদের মিছিল। পুলিস জানিয়ে দেয়, অন্য একটি সংগঠন সভা করছে। বামেরা বরং বেলা আড়াইটায় আসুন।
অগত্যা অপেক্ষা-
কিন্তু ঘড়ির কাঁটা পৌনে তিনটে গড়িয়ে যাওয়ার পরেও, পুলিসের তরফে কোনও বার্তা আসেনি। এরপর এগনোর সিদ্ধান্ত।
বিকেল ৩টে। মিছিল রাসমণি মোড়ের দিকে এগোতেই আটকে দেয় পুলিস।
মিছিল পুলিসের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। সামনের সারিতে নেতৃত্বে সূর্যকান্ত মিশ্র। পিছনে তখন স্লোগান দিচ্ছেন বিমান বসু। মনোজ ভট্টাচার্যরাও অন্যদিকে ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে ব্যস্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে যায় কয়েকটি ব্যারিকেড। পুলিসি বাধায় যাঁরা এগনোর সুযোগ পাননি, তাঁরা তখন রাস্তার ওপরেই বসে পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত পুলিসি বাধা অতিক্রম করে রাসমণি মোড়ে পৌছে যান বামেরা। সূর্যকান্ত মিশ্র বললেন, ব্যারিকেড ভাঙছে, এ বার আপনার সরকার ভাঙছে।