লকডাউনের মধ্যেও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট কলকাতার হাসপাতালে, প্রাণ ফিরে পেলেন নদিয়ার যুবক
জানুয়ারি মাসে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয় নদিয়ার দেবগ্রামের বাসিন্দা অমিত কুমার দে-র। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে লাইভ সাপোর্টে ছিলেন ৪৫ বছরের অমিত
![লকডাউনের মধ্যেও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট কলকাতার হাসপাতালে, প্রাণ ফিরে পেলেন নদিয়ার যুবক লকডাউনের মধ্যেও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট কলকাতার হাসপাতালে, প্রাণ ফিরে পেলেন নদিয়ার যুবক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/21/245213-6.gif)
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে গোটা দেশ। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এর মধ্যেও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়ে গেল কলকাতার এক হাসপাতালে। এরকম এক সময়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারটি করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা কুণাল সরকারের নেতৃত্বে চিকিত্সকদের একটি দল।
আরও পড়ুন-‘দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের অবস্থা এখন ভালো, তবু কেন কেন্দ্রীয় টিম গেছে জানি না’: মুখ্যসচিব
জানুয়ারি মাসে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয় নদিয়ার দেবগ্রামের বাসিন্দা অমিত কুমার দে-র। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে লাইভ সাপোর্টে ছিলেন ৪৫ বছরের অমিত। এর মধ্যেই লকডাউন শুরু হবার আগে মৃত্যু হয় পাটনার ১৭ বছরের এক তরুণের।
পাটনার ওই তরুণের মৃত্যু খবর হাসপাতালে চলে আসে ROTO-র মাধ্যমে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতাল থেকে পাটনা গিয়ে হার্ট হারভেস্ট করে কলকাতায় নিয়ে আসেন চিকিত্সকরা। শেষপর্যন্ত গত ১৮ মার্চ ওই অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন-কমছে সংক্রমণের হার! দেশে অনেকটাই কমছে ডাবলিং রেট, জানিয়ে দিল কেন্দ্র
করোনার প্রকোপ যখন বাড়ছে তখন ওই অস্ত্রোপচারে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন অমিত। বর্তমানে উনি সুস্থ। এবার বাড়ি ফিরবেন। এনিয়ে ডাক্তার কুণাল সরকার বলেন, চারদিকে লকডাউন চলছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে এতবড় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে এটাই একটা অ্যাচিভমেন্ট। একজন প্রাণ ফিরে পেলেন। এর জন্য খুবই ভালো লাগছে।
অন্যদিকে, রোগী অমিত কুমার দে বলেন, এটা আমার দ্বিতীয় জন্ম। ফের প্রাণ ফিরে পেলাম। ডাক্তাররা আমার কাছে ভগবান।