রেশন নিয়ে কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ খাদ্যমন্ত্রীর, চালু টোল ফ্রি নম্বরও
রেশন নিয়ে প্রশ্ন ও অভিযোগের জন্য আজ থেকে চালু দুটি অটো রিসিভ টোল ফ্রি নম্বর- ১৮০০৩৪৫৫৫০৫ এবং ১৯৬৭।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন নিয়ে দুর্নীতি ও অশান্তি ঠেকাতে প্রতি ৪টি রেশন দোকান পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। এখনও পর্যন্ত ২৫ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে। লকডাউন উঠলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাতিল করা হতে পারে লাইসেন্সও। এদিন খাদ্যভবনে বৈঠকের পর জানালেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
লক ডাউনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে গণবন্টন ব্যাবস্থা। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রেশন নিয়ে বিবিধ অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, কোথাও রেশন ডিলাররা নানা কারণ দেখিয়ে দোকান খুলছেন না। কোথাও কর্মী আসতে পারছেন না। কোথাও আবার স্টক তোলার মতো গাড়ি বা স্থানীয় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও আবার রেশন সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। সমস্যা সমাধানে এদিন খাদ্য ভবনে রাজ্যের রেশন ডিলারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন খাদ্যমন্ত্রী।
বৈঠকের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ৪টি রেশন দোকান পিছু এবার থেকে খাদ্য দফতরের একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। রোজ রেশন দোকান খোলা থাকবে। এপ্রিলের ৯০ শতাংশ রেশন সামগ্রী ইতিমধ্যেই ডিলারদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মে মাসের রেশন সামগ্রীও ডিলারদের ঘরে ঢুকে যাবে। তবে বহু ক্ষেত্রে দোকানের পরিসর ছোট হওয়ায় বেশি মাল পাঠালেও অনেকে রাখতে পারছেন না। ফলে সেক্ষেত্রে খাদ্য দফতরকে দুবারে সামগ্রী পৌঁছে দিতে হচ্ছে। এর জেরে পরিবহণ খরচ বাড়ছে।
একইসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২৫ জন ডিলারের বিরূদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। লকডাউন উঠলেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন করলে খাদ্য সঙ্কট হবে। পরে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে। এর পাশাপাশি আরও জানান, রেশন নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন এবং অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য এদিন দুটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। ১৮০০৩৪৫৫৫০৫ এবং ১৯৬৭, অটো রিসিভ এই নম্বর দুটি আজ থেকে চালু হচ্ছে।
আরও পড়ুন, বেলেঘাটা আইডির উল্টোদিকেই নকল স্যানিটাইজার তৈরির রমরমা কারবার! দেখুন ছবি