নিজস্ব প্রতিবেদন: ফলপ্রকাশের আগেরদিন আরও একবার কলম ধরে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'জরুরী' কবিতায় ছত্র ছত্রে মোদী সরকারকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল নেত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার শুরু থেকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত দফায় নির্বাচন নরেন্দ্র মোদীকে সুবিধা করে দিতে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও আপত্তি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী দাবি করছেন, দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থীর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বসে বাহিনী মোতায়েন করছেন তিনি। এরপর বুথ ফেরত ফলপ্রকাশের পর মমতা তীব্র আপত্তি জানান। তাঁর দাবি, বিজেপি যাতে ইভিএম বদলে দিতে পারে, সে কারণেই এই ভুয়ো এক্সিট পোল দেখানো হচ্ছে। মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলিও কমিশনের কাছে প্রথমে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার দাবি জানায়। কিন্তু আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়ে দিয়েছে, চালু থাকবে বর্তমান ব্যবস্থাই। ইভিএম গণনার পর ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্তের পরই দুপুরে একটি কবিতা টুইট করেন মমতা। কবিতা জুড়ে ঝড়ে পড়েছে তীব্র শ্লেষ। মমতা লিখেছেন,         



জরুরী          


সবটাই জরুরী-
কিছু কথা ছিল, 
ওটাও জরুরী। 
মধ্য রাতে সিদ্ধান্ত-
ওটাও জরুরী। 
ভিলেনের মাঠে এ খেলা-
তাতেও জরুরী। 
বিচারে বিধ্বস্ত-
ওটাও জরুরী। 
গণতন্ত্র গুহায়-
ওটাও জরুরী। 
প্রতিবাদ করবে?
না হুজুর-জরুরী। 
মাথা খুটে কাঁদো
অশ্রুতেও জরুরী। 
কি দেখলে নির্বাচন? 
নির্বাসনও কি জরুরী? 



ভোটের শেষলগ্নে মোদীকে নিশানা করে 'অবিশ্বাস্য কালো' কবিতা লিখেছিলেন মমতা।



তার আগে আবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদেও লিখেছিলেন কবিতা।



ছবি থেকে কবিতা- সংস্কৃতির অঙ্গনে স্বছন্দের আসা-যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে মমতার কলম।


আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টও বিজেপির হয়ে রিগিং করছে, বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস নেতার