আজ মহাপঞ্চমী, আলো আর জনজোয়ারে ভাসল মহানগর

মহাপঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই সরগরম মহানগরীর রাস্তা। বোধনের ঢাকে কাঠি পড়বে কাল। কিন্তু তার আগেই উত্সবের রঙে রঙিন গোটা বাংলা। আলোর বন্যায় আর মানুষের স্রোতে মায়াপুরীতে পরিণত হয়েছে কলকাতা। সকাল থেকেই পথে নেমেছে অসংখ্য মানুষ। এপ্যান্ডেল থেকে ওপ্যান্ডেল, চলছে ঠাকুর দেখা। 

Updated By: Oct 19, 2012, 07:56 PM IST

মহাপঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই সরগরম মহানগরীর রাস্তা। বোধনের ঢাকে কাঠি পড়বে কাল। কিন্তু তার আগেই উত্সবের রঙে রঙিন গোটা বাংলা। আলোর বন্যায় আর মানুষের স্রোতে মায়াপুরীতে পরিণত হয়েছে কলকাতা। সকাল থেকেই পথে নেমেছে অসংখ্য মানুষ। এপ্যান্ডেল থেকে ওপ্যান্ডেল, চলছে ঠাকুর দেখা। সঙ্গে আড্ডা, খায়াদাওয়া আর নাচগান তো আছেই। সব মিলিয়ে এবারও পঞ্চমীতেই জমজমাট পুজোর শহর।
মহাপঞ্চমীর শুরুতেই দুর্গাপুজোর আনন্দে মাতোয়ারা সকলেই। সকলেরই মায়ের কাছে ইচ্ছে এই সময়টা যেন পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটানো যায়। কিন্তু যাঁরা এই সময় মণ্ডপে থেকে মাতৃ আরাধনার সুর তোলেন। সেই সব ঢাকিরা। তাঁদের কাছে এই সময়টা বাড়ি থেকে দূরে থাকার সময়। কেননা এই সময়টাতেই তো যা একটু দুপয়সা বেশি রোজগার হয়। এবারও সেই আশাতেই মুর্শিদাবাদের শালার থেকে শুরু করে কাটোয়া নবদ্বীপ এলাকার ঢাকিরা পাড়ি জমিয়েছেন শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে। আশা, সেখান থেকে কোনও না কোনও পুজো উদ্যোক্তারা নিশ্চই বায়না করে নিয়ে যাবেন এই সব ঢাকিদের।
সন্ধ্যা নমতেই উত্তর থেকে দক্ষিণ কার্যত জনপ্লাবনের ছবিটা ধরা পড়ল ২৪ ঘণ্টার ক্যমেরায়। মহম্মদ আলি পার্কের সামনেও ছিল লম্বা লাইন। কোথাও বা মণ্ডপ সজ্জায় শেষ মুহুর্তের ছোঁয়া। পায় পায় পা মিলিয়েছে আট থেকে আশি অনেকেই। পঞ্চমীর সন্ধ্যার এই ছবিই পরিষ্কার করে দিচ্ছে, আগামিদিনে জনতার ঢল নামতে চলেছে বাগবাজার থেকে বাবুবাগানে।

.