`কবে দায়িত্ব ছাড়তে হবে, লিখিত ভাবে জানানো হয়নি`
দায়িত্ব ছাড়ার দিনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্সির বিদায়ী উপাচার্য মালবিকা সরকার। নতুন উপাচার্যকে পাশে বসিয়েই বললেন, কবে দায়িত্ব ছাড়তে হবে একথা লিখিতভাবে জানানোই হয়নি তাঁকে। সবটাই তিনি জেনেছেন সংবাদমাধ্যম থেকে। তাঁর অভিযোগের আঙুল ছিল আচার্য এবং রাজ্য সরকারের দিকে । তুলেছেন রুচিবোধের প্রশ্নও।
দায়িত্ব ছাড়ার দিনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্সির বিদায়ী উপাচার্য মালবিকা সরকার। নতুন উপাচার্যকে পাশে বসিয়েই বললেন, কবে দায়িত্ব ছাড়তে হবে একথা লিখিতভাবে জানানোই হয়নি তাঁকে। সবটাই তিনি জেনেছেন সংবাদমাধ্যম থেকে। তাঁর অভিযোগের আঙুল ছিল আচার্য এবং রাজ্য সরকারের দিকে । তুলেছেন রুচিবোধের প্রশ্নও।
১৫ মে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা ছিল মালবিকা সরকারের। কিন্তু দু-সপ্তাহ আগেই তাঁকে ছেড়ে দিতে হল সেই দায়িত্ব। শুক্রবার মালবিকা সরকারের কাছ থেকে দায়িত্বভার বুঝে নিলেন নতুন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। হাসিমুখে দুজনেই বসেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। আর এরপরই বোমাটা ফাটালেন বিদায়ী উপাচার্য। বললেন, দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে তাঁকে আদৌ কিছু জানানোই হয়নি।
তাহলে দায়িত্ব ছাড়ার কথা কীভাবে জানলেন প্রেসিডেন্সির বিদায়ী উপাচার্য? উপাচার্য-বদল নিয়ে একটা চিঠি অবশ্য এসেছিল। তবে সেটি তাঁর কাছে নয়, এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে। জানিয়েছেন মালবিকা সরকার। এই ঘটনায় আচার্য থেকে রাজ্য সরকার, সকলের আচরণের কড়া সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এখানে শেষ নয়। নতুন উপাচার্যকে পাশে বসিয়েই বিদায়ী উপাচার্যের কটাক্ষ, এটাই কি উচ্চশিক্ষাকে বিশ্বমানের করার পথ?
কিন্তু কেন এমনটা করা হল? কেন সময়ের আগেই দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা জানানোই হল না একজন উপাচার্যকে? অনেকেই মনে করছেন, প্রেসিডেন্সির নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে যে নাটক চলছে, তারই শেষ অধ্যায় হিসেবে সামনে এল এদিনের এই ঘটনা। তবে এতে শিক্ষাক্ষেত্রের ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হল, সে প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে।