জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানের একটি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে যে শ্মশানের ভিতরর এই জায়গায় একটি গ্লো সাইন বোর্ড লাগানো রয়েছে যেখানে লেখা আছে ‘আই লাভ কেওড়াতলা মহাশ্মশান’। যদিও পরবর্তিকালে জানা যায় এই ছবিটি ভুয়ো এবং শ্মশানে এইরকম কোনও বোর্ড লাগানো হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় দৃশ্যতই বিরক্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা শহরের পুলিস কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েলকে জানতে চেয়েছেন যে কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি আপলোড করেছেন কিনা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘রবিবার থেকে বেশ কয়েকজন ভুয়া খবর প্রচার করছে। আমি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অনুমতি দেব না। আমি সমালোচনা গ্রহণ করব’। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘এটি জাল নয়, এটি ঘৃণা’।


কেওড়াতলা হল কালীঘাট এলাকার একটি শ্মশান। কলকাতা শহরের দক্ষিণ অংশে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষ প্রয়োজনে এই শ্মশান ব্যবহার করেন। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ‘আই লাভ’ লিখে তারপর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নম্বর বা জায়গার নাম ব্যবহার করা হয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে।


সেই ছবিটি গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। হাজার হাজার মানুষ তা যাচাই না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন। সিপিএম এবং বিজেপি সমর্থকরা এই জাল ছবি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya: 'কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর' এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে রহস্যজনক ডিল মানিকের!


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছিলেন যে বিরোধী দলগুলি কখনও কখনও সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপবাদ বা কুৎসা প্রচার করতে জাল ভিডিও প্রকাশ করে।


কেওড়াতলা হল দক্ষিণ কলকাতার একটি শ্মশান। এর সরকারী নাম মহীশূর গার্ডেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এলাকার উন্নয়ন করেছেন এবং শোকার্ত পরিবারের বসার জায়গা সংস্কার করা হয়েছে। পানীয় জল ও টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের একজন প্রবীণ আধিকারিক বলেছেন, ‘আমি কেওড়াতলাকে ভালোবাসি’ বলে কোনও বোর্ড কখনও শ্মশানে লাগানো হয়নি।


আরও পড়ুন: Nitish Kumar: নীতিশকে ফোন খাড়্গের, দিল্লি সফরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী


পুলিস কমিশনার বিনিত গোয়েলকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার কিছুক্ষন পরেই এই ভুয়ো ছবির বিষয়ে টালিগঞ্জ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। গোয়েন্দা দফতরের সাইবার সেলকে টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়ার কথাও বলা হয়।  


জানা গিয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে এফআইআর করা হলেই আইটি অ্যাক্টে আভিজগ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে আসল ছবিটি ২০১১ সালে তোলা হয়েছিল। এর উপরে ওই লেখাটি সুপারইম্পোজ করা হয়। আসল ছবিটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)