সেনা না সরলে এবার আইনি পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি মমতার
এখনই যদি রাজ্য থেকে সেনা সরানো না হয় তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ৩০ ঘণ্টা পর নবান্ন ছাড়ার আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজায় সেনা টহলকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। নবান্নের সামনে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজাতেও সেনার টহল দেখা যায়।
ওয়েব ডেস্ক : এখনই যদি রাজ্য থেকে সেনা সরানো না হয় তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ৩০ ঘণ্টা পর নবান্ন ছাড়ার আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজায় সেনা টহলকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। নবান্নের সামনে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজাতেও সেনার টহল দেখা যায়।
এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গতকাল রাতেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, রাজ্য থেকে সেনা না সরানো হলে তিনি নবান্ন ছাড়বেন না। রাতে ছাড়েনওনি। দফায় দফায় বৈঠক করেন মন্ত্রী ও আমলাদের নিয়ে। সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের পক্ষ থেকে খবর যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে। রাতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর সাফ জানিয়ে দেন এটা সেনাবাহিনীক পক্ষ থেকে রুটিন টহল দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নেই কেন্দ্রীয় সরকারের।
আরও পড়ুন- সেনা ইস্যুতে এবার রাজ্যকে দেওয়া চিঠি পেশ করল ইস্টার্ন কম্যান্ড
তবুও তিনি নাছোড়বান্দা। মানবেনই না। তাই আজ সকাল থেকে তাঁর 'সেনাবাহিনীর' সদস্যরা সংসদে দুই কক্ষেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন। সেখানেও একই উত্তর পান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন সেনা তাদের রুটিন টহল দিয়েছে। এখানে কোনও উদ্দেশ্য নেই। এরপরই আজ দুপুরে মমতার করা দাবিকে নস্যাত্ করে সেনাবাহিনীর তরফে একটি অনুমতিপত্রও পেশ করা হয়। সেখানে দেখানো হয়েছে গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আগেই অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
এরপরই আজ সন্ধ্যায় নবান্ন ছাড়ার আগে মমতার হুঁশিয়ারি, রাজ্য থেকে সেনা না সরানো হলে এবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য।