Baguihati Student Murder: 'কেন তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত হয়নি?' বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা
ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানায় পৌঁছে গিয়েছে সিআইডি টিম। পুলিস সূত্রে খবর, সত্যেন্দ্রর গতিবিধি কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, জোড়া খুন মামলায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। '
![Baguihati Student Murder: 'কেন তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত হয়নি?' বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা Baguihati Student Murder: 'কেন তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত হয়নি?' বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/08/388812-bahuatimamta.jpg)
অয়ন ঘোষাল: বাগুইআটি জোড়া খুনের তদন্তভার নিল সিআইডির হোমিসাইড শাখা। তার সঙ্গে রয়েছে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা। এখনও অধরা বাগুইআটিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। এবার তারই খোঁজে সিআইডির হোমিসাইড শাখা এবং বাগুইআটি থানায় গোয়েন্দারা। এমনকী যে গাড়িতে দুই কিশোর অতনু-অভিষেককে খুন করা হয় সেই গাড়িরও আজ ফরেন্সিক তদন্ত হবে। ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বাগুইআটি থানার আইসি ও এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানায় পৌঁছে গিয়েছে সিআইডি টিম। পুলিস সূত্রে খবর, সত্যেন্দ্রর গতিবিধি কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, জোড়া খুন মামলায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'কেন তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত হয়নি? কেন পুলিসের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই?' প্রশ্ন মমতার। তিনি ডিজিকে নির্দেশ দেন, দোষীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। বাগুইআটিকাণ্ডে আইসি কল্লোল ঘোষ ও তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রীতম সিংকে সাসপেন্ড করার পর গতকাল বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হলেন শান্তনু সরকার। গতকাল রাতেই তিনি দায়িত্বভার নেন। এর আগে এয়ারপোর্ট থানার আইসি ছিলেন শান্তনু সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অগাস্ট হাড়োয়ায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল । তারপরে সেই দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে থানায় থানায় বার্তা দেওয়া হয়। তার আগে, ২৩ অগাস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় অতনুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হলেও কেন চুপ করে ছিল বসিরহাট থানা? কেন সেই কথা জানাল না বসিরহাট থানা? উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি অভিষেকের দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ। এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিসের।
বাগুইআটিকাণ্ডে ধৃত ৩ জনের ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসাত আদালত। ৫০ হাজার টাকার দাবি এবং বাইক কেনা নিয়ে বিতন্ডার জন্যই কি বাগুইআটির দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী খুন? নাকি বৃহত্তর কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে? উত্তর খুঁজবে সিআইডি হোমিসাইড। পুলিস সূত্রের খবর, ২২ অগাস্ট অপহরণের আগে ১৮ অগাস্ট নিউটাউনের হোটেলে গোপন বৈঠক করে অভিযুক্তরা। ধৃত অভিজিৎ এবং ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। সূত্রের খবর, ভাড়াটে খুনিদের টাকা দিয়ে সুপারিও দেয় সত্যেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের জন্য গাড়ি ভাড়াও করেছিল সে। মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্যই খুন করতে চাইলে, তার জন্য কেন এত খরচ করল? এই প্রশ্নেরই উত্তরও খুঁজবেন সিআইডি গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন, Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে সাঁড়াশি চাপে মলয় ঘটক! সিবিআই হানার পর ইডির তলব