করোনার ধাক্কায় আসেননি ১৬ লক্ষ পর্যটক, সামাল দিতে ঘরোয়া পর্যটনের টোটকা Mamata-র
ঘরোয়া পর্যটনকে (Domestic Tourism Industry) উৎসাহিত করতে হোম স্টে, ভিলেজ ট্যুরিজম, বিচ ট্যুরিজম, বার্ড ওয়াচিং ও ট্রেকিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার (Coronavirus) প্রাদুর্ভাবে ধাক্কা খেল রাজ্যের পর্যটন শিল্প (Tourism Industry)। দু'বছর ধরে এ রাজ্যে আসছেন না বিদেশি পর্যটকরা। প্রতিবছর গড়ে ১৬ লক্ষ বিদেশি পর্যটক আসেন বাংলায়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও পড়শি দেশ বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষের আসা-যাওয়া লেগে থাকত। করোনার থাবায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্প। সেই ধাক্কা সামলাতে এবার ঘরোয়া পর্যটনে জোর দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ঘরোয়া পর্যটনকে (Domestic Tourism Industry) উৎসাহিত করতে হোম স্টে, ভিলেজ ট্যুরিজম, বিচ ট্যুরিজম, বার্ড ওয়াচিং ও ট্রেকিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ৬ লক্ষ কর্মীর টিকাকরণ দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরই পর্যটন কেন্দ্রগুলি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
গতবছর লকডাউন ওঠার পর পুজো, শীতকালে পর্যটন কেন্দ্রগুলির ভরে গিয়েছিল পর্যটকে। ঘর পাওয়া মুশকিল হচ্ছিল। কলকাতা থেকে গাড়ি-পথের দূরত্বে পর্যটনস্থলে লজ ফাঁকা পাওয়াই ছিল ভাগ্যের ব্যাপার। দীর্ঘদিন বাঁধা থাকার পর হাওয়া বদল করতে বেরিয়ে পড়েছেন বাঙালিরা। গতবছরের অভিজ্ঞতা থেকে রাজ্য সরকার মনে করছে, এবারও কড়াকড়ি উঠে গেলে পর্যটকরা ভিড় জমাবেন রাজ্যে পর্যটনস্থলগুলিতে। তাই প্রতিটি টুরিস্ট লজকে সংস্কার করে তৈরি করা হচ্ছে। সুন্দরবন, বকখালি, সাগর, শান্তিনিকেতন, দিঘা, মন্দারমনি, বিষ্ণুপুর ও মুর্শিদাবাদকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য। উত্তরবঙ্গেও শিলিগুড়ি থেকে ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে থাকা পর্যটনস্থলগুলিকেও সংস্কার করা হচ্ছে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বনবাংলোগুলিকে।
৬ লক্ষ পর্যটন কর্মীকে টিকা দেওয়ার এর পাশাপাশি পর্যটন সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে সব সংস্থা সমস্যায় পড়েছে, তাদের সাহায্য করছে রাজ্য।
আরও পড়ুন- পদ্মাকাশে মুকুল ঝড়ের পূর্বাভাস, ঘর বাঁচাতে 'বিপর্যয় সামাল' বৈঠকে Shiv Prakash