লক্ষ্য পঞ্চায়েত, আমলা বৈঠকে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ ভাতা, পদন্নোতি সহ ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের একাধিক দাবিদাওয়া আজ মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। শনিবার টাউন হলে ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিকসভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজেদের একাধিক দাবি পেশ করেন রাজ্যের আমলারা। তাঁদের বেশিরভাগ দাবিই এদিন মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের কোন কোন দাবি এদিন মঞ্জুর হল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ ভাতা, পদন্নোতি সহ ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের একাধিক দাবিদাওয়া আজ মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার টাউন হলে ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিকসভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজেদের একাধিক দাবি পেশ করেন রাজ্যের আমলারা। তাঁদের বেশিরভাগ দাবিই এদিন মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক নজরে দেখে নেব আমলাদের পাওনা:
আইএএসদের মতো ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকরাও এখন থেকে বিশেষ ভাতা পাবেন
অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি হওয়ার জন্য একজন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিককে দশ বছরের বদলে এবার আট বছর অপেক্ষা করতে হবে
ডেপুটি সেক্রেটারি হওয়ার জন্য অভিজ্ঞতার মেয়াদ ২০ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা হল।
ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের পদন্নোতির সুযোগ বাড়াতে যুগ্মসচিবের পদের সংখ্যা ১৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১৬৫ করা হচ্ছে
দ্বিগুন করা হচ্ছে বিশেষ সচিবের পদের সংখ্যাও, বর্তমানে ২৫ থেকে বাড়িয়ে থেকে বিশেষ সচিব পদের সংখ্যা হচ্ছে ৫০
বিহার ঝাড়খণ্ড কর্নাটক তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সমতা রেখে পশ্চিমবঙ্গেও যুগ্ম সচিবের পদের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
কর্মাশিয়াল, এক্সাইজ ও শ্রম দফতরের আধিকারিকদের অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্টের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কর্মরত অবস্থায় আধিকারিকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
দাবি মানার পাশাপাশি, বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পের কাজ তড়িঘড়ি শেষ করার জন্য এদিন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষত একশো দিনের কাজ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্প, রাস্তাঘাট নির্মানের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেন তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রশাসনের মন পেতেই কী এই উদ্যোগ প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।