পাশে এলেন সুমন, মহাসম্মানে কাছে টানলেন মমতা
অবশেষে বরফ গলল। একদিন আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন কবীর সুমন। তারপরই শুক্রবার তাঁর হাতে সঙ্গীত মহাসম্মান তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রশ্ন হল, গুণীর কদর বুঝতে কেন এত দেরি হল সরকারের?
একবছর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচক ছিলেন কবীর সুমন। তবে খাগড়াগড়কাণ্ডের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও মমতার পাশে থাকার বার্তা দেন এই নাগরিক কবিয়াল। বিবাদ ভুলে সমঝোতার পথে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর বাংলাদেশ সফরসঙ্গীদের তালিকায় নাম ওঠে সুমনের। জোরালো হয় জল্পনা, তাহলে কি এবার বিবাদে পাকাপাকি ইতি?
অতীতের তিক্ততা মনে রাখেননি মমতাও। তাই শুক্রবার নজরুল মঞ্চে সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনে ফের দুজনকে এক সঙ্গে দেখা গেল। মঞ্চে কবীর সুমনের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাতে তুলে দেন সঙ্গীত মহাসম্মান পুরস্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে এদিন দর্শকদের গানও শোনান সুমন। কিন্তু, কবীর সুমন যদি এত গুণী শিল্পীই হন, তবে তাঁকে সম্মান জানাতে কেন তিন বছর সময় লাগল মুখ্যমন্ত্রীর? তাহলে কি বিরোধিতার শাস্তি অবহেলা আর সমর্থনের ইনাম সম্মানই এই সরকারের দস্তুর? প্রশ্নটা কিন্তু উঠতে শুরু করেছে শিল্পীমহলে।