হাজিরায় ফেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী
সময়মতো অফিসে আসুন। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন। বারবারই সরকারি কর্মচারিদের প্রতি এমন পরামর্শ দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বারবারই তিনি বলেন, রাজ্যে নতুন কর্মসংস্কৃতির পরিবেশ তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু বিধানসভায় হাজিরায় নিজেই পাস মার্কও পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
সময়মতো অফিসে আসুন। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন। বারবারই সরকারি কর্মচারিদের প্রতি এমন পরামর্শ দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বারবারই তিনি বলেন, রাজ্যে নতুন কর্মসংস্কৃতির পরিবেশ তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু বিধানসভায় হাজিরায় নিজেই পাস মার্কও পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়মের কথাই তো বললেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদ বা বিধানসভাই তো বিরোধীদের কথা বলার প্রধান জায়গা। কিন্তু মুস্কিল হচ্ছে বিরোধীরা বিধানসভায় কোনও অভিযোগ করলে মুখ্যমন্ত্রী তা শুনবেন কী ভাবে? গত কুড়ি মাসে বিধানসভার অধিবেশন বসেছে ৬৮ দিন। তারমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন মাত্র কুড়ি দিন। শতাংশের হিসেবে ২৯.০১। অর্থাত্ পাস মার্কও পাননি মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য বলছে, মুখ্যমন্ত্রী কুড়ি দিন বিধানসভার অধিবেশনে এলেও ছিলেন খুব কম সময়।
গত কুড়ি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনা ২৭৫টি প্রশ্ন গৃহীত হয়েছে। কিন্তু উত্তর মিলেছে মাত্র ২২ টির। অর্থাত্ মাত্র আট শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কোনও উত্তরই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রি নিজে দেননি। তাঁর দফতর থেকে লিখিত ভাবে প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বত্রই বারবার তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরছেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাফল্যের কথা তুলে ধরছেন না কেন? বিরোধীদের অভিযোগ, যে প্রশ্নের উত্তর তারা চাইছেন, বিধানসভায় তার সঠিক উত্তর এলে সরকারের আসল রূপটাই বেরিয়ে পড়বে। আর সেকারণেই বিধানসভাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়মের কথাই তো বললেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদ বা বিধানসভাই তো বিরোধীদের কথা বলার প্রধান জায়গা। কিন্তু মুস্কিল হচ্ছে বিরোধীরা বিধানসভায় কোনও অভিযোগ করলে মুখ্যমন্ত্রী তা শুনবেন কী ভাবে? গত কুড়ি মাসে বিধানসভার অধিবেশন বসেছে ৬৮ দিন। তারমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২০ দিন। শতাংশের হিসেবে উনত্রিশ দশমিক চার এক। অর্থাত্ পাস মার্কও পাননি মুখ্যমন্ত্রী।
এক নজরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী
৬৮ দিনের মধ্যে বিধানসভার অধিবেশনে ২০ দিন উপস্থিত
উপস্থিতির শতকরা হার ২৯.৪১
উপস্থিত কুড়ি দিনের মধ্যে অধিবেশন ছিলেন খুব কম সময়ে
গৃহীত ২৭৫টি প্রশ্নের মধ্যে জবাব দিয়েছেন মাত্র ২২
জবাব দেওয়ার শতকরা হিসাব মাত্র আট শতাংশ