ম্যানেজমেন্টের গণ্ডগোলে বন্ধ হওয়ার পথে মানিকতলা হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল ও কলেজ
ধুঁকছে, এমনটা বলা যাবে না। রোগী সংখ্যাও প্রচুর। রয়েছে আর্থিক যোগানও। তাও শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্টের গণ্ডগোলে বন্ধ হতে বসেছে মানিকতলা হোমিওপ্যাথ হাসপাতাল ও কলেজ। রোগী, চিকিত্সক, কর্মীরা সঙ্কটে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ছাত্রছাত্রীরা।
ওয়েব ডেস্ক: ধুঁকছে, এমনটা বলা যাবে না। রোগী সংখ্যাও প্রচুর। রয়েছে আর্থিক যোগানও। তাও শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্টের গণ্ডগোলে বন্ধ হতে বসেছে মানিকতলা হোমিওপ্যাথ হাসপাতাল ও কলেজ। রোগী, চিকিত্সক, কর্মীরা সঙ্কটে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ছাত্রছাত্রীরা।
১৯২৬। মানিকতলার এক প্রান্তে গড়ে উঠল ছোট্ট একটা হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল সঙ্গে কলেজ। এশিয়ার মধ্যে সম্ভবত প্রথম। রোগী সংখ্যা হাতেগোনা। ক্রমশ অনেক ধকল কাটিয়ে প্রতাপ চন্দ্র মেমোরিয়াল হাসপাতাল বিরানব্বইয়ে পা দিল। ঝাঁ চকচকে পরিবেশ। সকাল থেকে রোগীর লাইন। ওয়ার্ডেও সময় সময় জায়গা মেলা ভার। ২৪ জন চিকিতসক। অশিক্ষক কর্মচারী ৩০। সকাল নটায় শুরু হয় আউটডোর। চলে দীর্ঘক্ষণ। ইমার্জেন্সি তো রয়েইছে।
কলেজ এবং হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব ট্রাস্টি বোর্ডের। সরকার অধিগৃহীত। বছরে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান আসে। কখনও আরও বেশি। এভাবেই চলছিল। কিন্তু হঠাতই গণ্ডগোল। এরপর থানা-পুলিস-আদালত। সবই চলছে। কিন্তু এরই ফাঁকে বন্ধ হতে চলেছে হাসপাতাল। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কের সমস্ত চেক লেনদেন বন্ধ। ফলে গত তিনদিন ধরে বন্ধ হয়েছে ইমার্জেন্সি বিভাগও।
বেতন বন্ধ হাসপাতালের চিকিতসক থেকে কর্মচারী সকলের। এভাবে চলতে থাকলে সামনের সপ্তাহ থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আউটডোরও। বিপাকে পড়েছেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও। শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্টের কিছু জট-জটিলতার কারণেই একটা গোটা হাসপাতাল প্রায় বন্ধের মুখে। হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল বলেই কী এই দুরবস্থা নিয়ে নীরব প্রশাসন?