মাওবাদীদের মিটিং-এর জায়গা কফি হাউস: মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এখন কফি হাউস হয়ে উঠেছে মাওবাদীদের মিটিংয়ের জায়গা। কফি হাউস, বসন্ত কেবিন সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গাকে নিজেদের পরিকল্পনা তৈরির জন্য বেছে নিচ্ছে মাওবাদীরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কোনও টেবিলে চলছে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। কোথাও আবার রাজনীতি নিয়ে তর্কের তুফান উঠেছে কফির কাপে। আরেক টেবিলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মেতে উঠেছেন জমাটি আড্ডায়। দিন বদলালেও বদলায়নি কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস। কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এখন কফি হাউস হয়ে উঠেছে মাওবাদীদের মিটিংয়ের জায়গা। কফি হাউস, বসন্ত কেবিন সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গাকে নিজেদের পরিকল্পনা তৈরির জন্য বেছে নিচ্ছে মাওবাদীরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও, কফি হাউস, বসন্ত কেবিন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে যাঁরা এখানে নিয়মিত আসেন, তাঁরা কেউই এই অভিযোগের সঙ্গে সহমত নন।কফি হাউস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এত লোকের ভিড়ে তাদের পক্ষে নজরদারি করা সম্ভব নয়। তবে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিস দায়িত্বে থাকায় তাঁরা নিশ্চিন্ত থাকেন।
একই অভিযোগ, বসন্ত কেবিনের বিরুদ্ধে। যদিও, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের দাবি, দোকানে নিয়মিত খরিদ্দারের সংখ্যাই বেশি। প্রায় সকলেই মুখচেনা। বসানো আছে লুকোনো ক্যামেরা। তাই, এখানে মাওবাদীদের পরিকল্পনা তৈরির কোনও সুযোগ নেই। বসন্ত কেবিনের অবস্থানগত বৈশিষ্ট্যের জন্য এখানে মাওবাদীদের কাজ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ক্রেতারাও। প্রশ্ন উঠেছে, মাওবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে সরকারের কাছে যদি নির্দিষ্ট খবর থাকে, তাহলে কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না কেন।