ইউপিএ সরকার সংখ্যগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, পদত্যাগের দাবি তৃণমূলের
ডিএমকের সমর্থন প্রত্যাহারের নিরিখে অবিলম্বে ইউপিএ সরকারের ইস্তফা দাবি করল একসময়ের ঘনিষ্ঠ শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, "ছ`মাস ধরে তৃণমূল বলে আসছে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু সরকার চলছে।" কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুকুল। জনস্বার্থ বিরোধী মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোল ও ডিজেলের দর চড়ানোর মতো সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জেহাদ জারি রাখার কথাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক।
ডিএমকের সমর্থন প্রত্যাহারের নিরিখে অবিলম্বে ইউপিএ সরকারের ইস্তফা দাবি করল একসময়ের ঘনিষ্ঠ শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, "ছ`মাস ধরে তৃণমূল বলে আসছে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু সরকার চলছে।" কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুকুল। জনস্বার্থ বিরোধী মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোল ও ডিজেলের দর চড়ানোর মতো সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জেহাদ জারি রাখার কথাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক।
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি টানার ইস্যুতে দিল্লির সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে এদিন মুকুল রায় বলেন, "আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের।"
প্রসঙ্গত, ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের ১৯ জন সাংসদ নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে সমর্থন প্রত্যাহার করে। ২০০৯ থেকে ২০১২ টানা দু`বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই নানা ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তবে গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক হাওয়া বলছে, বিবাদ মিটিয়ে নিয়ে পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আবারও ঘর বাঁধতে চাইছে কংগ্রেস। কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দিয়ে ফোন করিয়ে রাজ্যের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দিয়ে মনমালিন্যের অবসান ঘটাতে চেয়েছে দশ জনপথ। আজকের বৈঠকে ইউপিকে সমর্থনের প্রসঙ্গ উঠলে `বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়` বলে এড়িয়ে গিয়েছেন মুকুল।
ফলত ডিএমকের সমর্থন প্রত্যাহারের পর চাপের মুখে পড়া মনমোহনের সরকারের ভরাডুবি রুখতে তৃণমূল যে কোনও মতেই মত পালটাবে না। তাই স্পষ্ট করে দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।