শহর কলকাতায় জোর করে ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি, প্রতিবাদ করায় দাদাকে খুনের চেষ্টা
কলকাতা যে মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়, আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। তোপসিয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করার পর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেয়েটির দাদারা লাঠি-চপারের আঘাতে গুরুতর জখম হলেন। অথচ, দুষ্কৃতীরা এখনও অধরাই। এলাকায় পিকেট বসিয়ে দায় সেরেছে পুলিস।
কলকাতা যে মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়, আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। তোপসিয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করার পর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেয়েটির দাদারা লাঠি-চপারের আঘাতে গুরুতর জখম হলেন। অথচ, দুষ্কৃতীরা এখনও অধরাই। এলাকায় পিকেট বসিয়ে দায় সেরেছে পুলিস।
সুজেট, কামদুনি, নির্ভয়া কিংবা মুম্বইয়ে চিত্র সাংবাদিক ধর্ষণকাণ্ডের পরেও যে অপরাধীদের টনক নড়েনি শুক্রবার আরও একবার কলকাতা সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল।
শুধু যে টনক নড়েনি তা-ই নয়, অপরাধ করে রীতিমতো খুনোখুনির রাস্তায় হাঁটতেও তারা পিছপা নয়। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী টিউশন পড়ে তোপসিয়ার বাড়িতে ফিরছিল। আচমকাই দুটি ছেলে তার হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। এর আগেও তাদের টিটকারির মুখে পড়তে হয়েছে ওই ছাত্রীটিকে। কিন্তু এ দিনের ঘটনা আর সহ্য করতে না পেরে কাছেই কারখানায় নিজের তিন দাদাকে ঘটনার কথা জানায় সে। কিন্তু তাদের নাম বলতে
পারেনি।
বোনের কথা জানতে পেরে ছাত্রীটির দাদারা খোঁজ নিতে যান ঘটনাস্থলে। দুষ্কৃতীরা উল্টে তাঁদেরই দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ২০-২২ জনের একটি দল ফিরে এসে ওই ছাত্রীর দাদাদের উপরে চড়াও হয়।
লাঠি-রড নিয়ে ভয়ানক হামলা চলে। মাথায়, নাকে-মুখে চপারের আঘাত নিয়ে তাঁরা প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে চিকিত্সার জন্য যান ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। রাতে এলাকায় পুলিস পিকেট বসেছে।