রাজ্যপালকে হেনস্থা সংবিধানকে অপমান, মত মুকুলের; ভোটের অপেক্ষা, বললেন ভারতী

রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাত আরও একবার প্রকট হল মঙ্গলবার। 

Updated By: Oct 22, 2019, 10:23 PM IST
রাজ্যপালকে হেনস্থা সংবিধানকে অপমান, মত মুকুলের; ভোটের অপেক্ষা, বললেন ভারতী

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার চলছে। এটা সংবিধানের ওপর আক্রমণ। হায়দরাবাদ যাওয়ার পথে বললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের কথায়, ''সংবিধান ভেঙে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন এলে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না।'' 

রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাত নিয়ে মুকুল রায় বলেন, ''রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তার সঙ্গে রাজ্য সরকার যে ব্যবহার করছে, তাঁকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তা সংবিধানকে অপমান করার সমান।'' মুকুল আরও বলেন,''এরাজ্যে আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্র নেই। এটা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।''

বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের কথায়, ''রাজ্যে আইনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মানুষ এখন বিধানসভা নির্বাচনের অপেক্ষা করছে। নির্বাচন এলে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। জিয়াগঞ্জ, বসিরহাট, সন্দেশখালি সর্বত্র অরাজকতা চলছে।''

তার আগে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা যথারীতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যপালের বৈঠকে যাননি আমলারা। আমলারা যেন মনে রাখেন, মুখ্যমন্ত্রী চিরকাল থাকবেন না। কিন্তু, সরকার থাকবে। রাজ্যপাল রাজ্যের কল্যাণে জন্য বৈঠক ডেকে ছিলেন। এতে গেলে কোন ক্ষতি হতো না।

রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাত আরও একবার প্রকট হয়েছে মঙ্গলবার। সজনেখালি ও ধামাখালিতে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও জেলা সভাধিপতিদের কেউই হাজির হননি। রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া বৈঠকে যাওয়ার সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক। অসুস্থতার কারণে বৈঠকে আসেননি তিনিও। আরে এতে চটে যান রাজ্যপাল। প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ? রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলে সরকারের অনুমতি কেন লাগবে?

প্রসঙ্গত, বলে রাখি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে আটকে পড়া বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তখন থেকে শুরু সংঘাত। তখন রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য সরকার। জিয়াগঞ্জে খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। বলেছিলেন,''তদন্তের গতিপ্রকৃতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে।'' এরপর দুর্গাপুজোর কার্নিভালে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে দু'দিন পর অভিযোগ করেন ধনখড়। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে নিয়ে সংঘাত উঠল চরমে। কার্নিভালের প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন জগদীপ ধনখড়। বলেছেন, "সবাই জানে ১১ তারিখ কার পাবলিসিটি হয়েছিল ৪ ঘণ্টা ধরে।"

আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সরকারি প্রকল্পে ২ বছরের ইন্টার্নশিপ! বিজেপি বলল, 'ভাঁওতাবাজি'

.