যাওয়ার আগে দলের ঘাড়ে কয়েক কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে গেলেন মুকুল রায়
মুকুল রায়কে আর চায় না তৃণমূল। কিছু একটা ব্যবস্থা করতে পারলে মুকুলও তৃণমূল ছাড়বেন। তবে, যাওয়ার আগে দলকে মোক্ষম প্যাঁচে ফেলে গেলেন তিনি। ঘাসফুলের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেলেন কয়েক কোটি টাকা ঋণের বোঝা।
ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়কে আর চায় না তৃণমূল। কিছু একটা ব্যবস্থা করতে পারলে মুকুলও তৃণমূল ছাড়বেন। তবে, যাওয়ার আগে দলকে মোক্ষম প্যাঁচে ফেলে গেলেন তিনি। ঘাসফুলের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেলেন কয়েক কোটি টাকা ঋণের বোঝা।
লোকসভা ভোটের পর পঁচিশে সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে দলের আয়-ব্যয়ের হিসেব দাখিল করেছিলেন মুকুল রায়। সেখানে বলা হয়েছিল, ত্রিনেত্র কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছে তৃণমূল।
সেই মুকুল রায় গত মাসে আবার কমিশনকে একটি চিঠি দেন। দ্বিতীয় চিঠিতে বলা হয়, ত্রিনেত্রর কাছ থেকে এক কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা অনুদান হিসাবে পাওয়া গিয়েছে বলে আগে জানানো হয়েছিল। যদিও, পরে ওই সংস্থা নাকি জানায় এই টাকাটা ফেরত দিতে হবে। ফলে,
সংশোধিত জমা-খরচের হিসাবে এই টাকা এ বার ধার হিসাবে দেখানো হল।
৩০ জানুয়ারি মুকুল রায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তাঁর দ্বিতীয় চিঠির তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি। তখনও তিনি খাতায়-কলমে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু,ততদিনে তৃণমূলে-মুকুলে বিচ্ছেদ পাকা হয়ে গেছে।
তৃণমূলের তহবিলে ত্রিনেত্রর নামে জমা পড়া টাকায় কারচুপি আছে বলে আগেই অভিযোগ করেছে বিজেপি। মুকুল রায়ও গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে কি সিবিআই জেরা সামলে বেরনোর পরই মুকুল রায় ঠিক করে নিয়েছিলেন তিনি দল ছাড়বেন?
আর যাওয়ার আগে তৃণমূলকে সমস্যায় ফেলতেই কৌশলে ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেলেন ঋণের বোঝা? তৃণমূলের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়েছে সিবিআই। ত্রিনেত্র নামে সংস্থার অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনে মুকুলের এই চিঠি ঘাসফুলে অস্বস্তি আরও বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, সারদাকাণ্ডে নাম জড়াল আরও দুই তৃণমূল সাংসদের। লোকসভার ওই দুই সদস্যের নাম রয়েছে সিবিআইকে দেওয়া মুকুল রায়ের বয়ানে। সুদীপ্ত সেনের বয়ানেও নাম ছিল দুজনের। তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।