আজ ঝরল না মুকুল, সিবিআই জেরার বেড়া টপকিয়ে আপাত স্বস্তিতে ঘাসফুলের সর্বভারতীয় সম্পাদক
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই CBI-এর প্রশ্নবাণের মোকাবিলা করলেন মুকুল রায়। সাড়ে চার ঘণ্টার জেরায়, কয়েকটি প্রশ্নকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি। আবার সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন কয়েকটি প্রশ্ন। যদিও, CBI অফিসাররা বলছেন, তদন্তে যথেষ্টই সহযোগিতা করেছেন মুকুল রায়।
কলকাতা: আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই CBI-এর প্রশ্নবাণের মোকাবিলা করলেন মুকুল রায়। সাড়ে চার ঘণ্টার জেরায়, কয়েকটি প্রশ্নকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি। আবার সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন কয়েকটি প্রশ্ন। যদিও, CBI অফিসাররা বলছেন, তদন্তে যথেষ্টই সহযোগিতা করেছেন মুকুল রায়।
শরীরী ভাষা যদি মাপকাঠি হয়, তাহলে বলতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই CBI-এর প্রশ্নবাণের মোকাবিলা করলেন মুকুল রায়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে, তিন দফায় জেরা করা হয় তৃণমূলের ক্রাইসিস ম্যানেজারকে।
CGO কমপ্লেক্সে ঢুকতেই মুকুল রায়কে নিয়ে যাওয়া হয় তিনতলায় জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজীব সিংয়ের কাছে। সেখানে ছিলেন SP পদমর্যাদার আরও দুই অফিসার।
সৌজন্য বিনিময়ের পর মুকুল রায়কে একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। তারপর দেওয়া হয় সারদা সংক্রান্ত প্রশ্নমালা। যার লিখিত উত্তর দিতে হয় তাঁকে।
মূলত সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়। যার মধ্যে ছিল, মুকুল রায়ের সঙ্গে সারদা কর্তার কোথায় কীভাবে পরিচয়,
সুদীপ্ত সেন আত্মগোপন করার আগে তাঁর সঙ্গে নিজাম প্যালেসে বৈঠক করেছিলেন কি না, বৈঠক করে থাকলে কেন করেছিলেন, পালিয়ে বেড়ানো সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুকুল রায়ের যোগাযোগ ছিল কি না
ডেলো বাংলোর বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছিল? কে কে উপস্থিত ছিলেন?
মুকুল রায়ের লিখিত উত্তরগুলি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার।
CBI সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফায় বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দেন মুকুল রায়। এমনকি কয়েকটি অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকারও করেন তিনি। কয়েকটি প্রশ্নকে চ্যালেঞ্জও করেন।
মুকুল রায়ের অস্বীকার করা অভিযোগগুলি নিয়ে শুরু হয় তৃতীয় দফার জেরা। তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় জয়েন্ট ডিরেক্টরের কাছে। ছিলেন তদন্তকারী অফিসারও।
মুকুল রায় যেসব তথ্য অস্বীকার করেছিলেন সেগুলির স্বপক্ষে ডিজিটাল এভিডেন্স পেশ করেন তদন্তকারীরা।
এই পর্বে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন মুকুল রায়। কয়েকটি প্রশ্ন তিনি সুচতুরভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলেও খবর CBI সূত্রে।
তদন্তকারীরা বলছেন, মুকুল রায়ের এড়িয়ে যাওয়া প্রশ্নগুলি মামলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই প্রশ্নগুলির সঙ্গে শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তিবিশেষ নয়, সার্বিকভাবে একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।
এরপরেও CBI-এর তদন্তকারীদের ধারনা, মুকুল রায় তদন্তে যথেষ্টই সাহায্য করেছেন। কারণ যেসব প্রশ্ন মুকুল রায় পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন সেগুলিতেও এমন কিছু ইঙ্গিত মিলেছে যার থেকে ভবিষ্যতে তদন্ত এগোতে পারে।