পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে পুলিস কর্তারা
পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিসের দুই কর্তা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সমস্ত বুথে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করেই নির্বাচন পর্ব পরিচালনা করে। একইসঙ্গে যাতে প্রার্থীরা বিনা বাধায় প্রচার ও মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, সেজন্যও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিসের দুই কর্তা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সমস্ত বুথে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করেই নির্বাচন পর্ব পরিচালনা করে। একইসঙ্গে যাতে প্রার্থীরা বিনা বাধায় প্রচার ও মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, সেজন্যও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
মনোনয়ন পর্ব থেকে প্রচার, ভোটদান, ভোটগণনা পর্ব। নিরাপত্তা নিয়ে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সবক্ষেত্রেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েতভোট। সেকারণে বারোটি পুরসভার নির্বাচনে নিরাপত্তার প্রশ্নে ফাঁক রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে প্রচারপর্ব। মনোনয়ন জমাও দিতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। পরিবর্তে এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন আইজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা এবং ওএসডি কোঅর্ডিনেশন হোম নীরজ পাণ্ডে। রাজ্যের দুই প্রশাসনিক শীর্ষকর্তা বৈঠকে না থাকায় নির্বাচন পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তবে দুপক্ষের আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে...
১)নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে বাহিনী থাকবে প্রচারপর্ব ও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় গণনাপর্বেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে
২)পঞ্চায়েত ভোটের মত একটি বা দুটি বুথ আছে এমন কেন্দ্রে দুজন সশস্ত্র ও দুজন লাঠিধারী নিরাপত্তা রক্ষী,
৩)তিনটি বুথ আছে এমন কেন্দ্রে তিনজন সশস্ত্র ও তিনজন লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষী আর চারটি বুথ রয়েছে এমন কেন্দ্রে একজন এসআই বা এসএসআই পদমর্যাদার পুলিস অফিসার ও চারজন সশস্ত্র রক্ষী রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
উত্তেজেনাপ্রবণ এলাকার বুথগুলিতে বাড়তি বাহিনী চাইছে কমিশন।
বর্ধমান, চাকদহ, পানিহাটি ও হাবড়ায় এক কোম্পানি এবং দুবরাজপুর, ডালখোলা ও গুসকড়ায় বাড়তি অর্ধেক কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কমিশন।