কেন সরানো হল উপাচার্যকে, জানতে চাইলেন রাজ্যপাল

প্রেসিডেন্সির উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। কী কারণে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন তিনি। অধ্যাপকদের একাংশ আবার চান, উপাচার্য পদে থাকুন মালবিকা সরকারই। এরই মধ্যে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

Updated By: Jul 26, 2013, 11:10 PM IST

প্রেসিডেন্সির উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। কী কারণে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন তিনি। অধ্যাপকদের একাংশ আবার চান, উপাচার্য পদে থাকুন মালবিকা সরকারই। এরই মধ্যে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বাইশে অগাস্ট প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ওইদিন স্নাতকোত্তর স্তরের সাড়ে ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ডিগ্রির শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। এইসব  ওই দিন ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া সার্টিফিকেটে সই থাকে উপাচার্যের। তারিখও উল্লেখ থাকে। শুরু হয়ে গেছে শংসাপত্র ছাপা। সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপালের সম্মতিও নেওয়া হয়ে গেছে।  আমন্ত্রণের কার্ড ছাপানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ।কার্ডেও বর্তমান উপাচার্যের সই থাকার কথা। কিন্তু চোদ্দই অগাস্ট বর্তমান উপাচার্যকে চলে যেতে হচ্ছে সরকারি সিদ্ধান্তে।  পরের দিনই যোগ দেবেন নতুন উপাচার্য। তাঁর পক্ষে কি বাইশ তারিখ সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। ফলে সমাবর্তনে নিয়ে দোলাচলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।  
 
এদিকে গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। শুক্রবার রাজভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং প্রেসিডেন্সির সার্চ কমিটির আহ্বায়ক সুগত মারজিতের সঙ্গে প্রায় দুঘণ্টা বৈঠক করেন রাজ্যপাল। কী কারণে রাজ্য সরকার উপাচার্যরে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানতে চান তিনি। আইনে কী আছে তাও জানতে চন রাজ্যপাল।  শুক্রবার বর্তমান উপাচার্যকেই রেখে দেওয়ার দাবিতে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। অনেকেই মনে করছেন বর্তমান উপাচার্যকে সরানোর সিদ্ধান্ত আগেই বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো উচিত ছিল। উনিশে জুলাই বেরিয়োছিল সার্চ কমিটির অর্ডার । বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা উপাচার্যের। তখনও কিছুই জানাননি শিক্ষামন্ত্রী। অথচ সেদিনই রাতে ফ্যাক্সে জানানো হয় সরে যেতে হবে উপাচার্যকে। পাঠানো হয় সার্চ কমিটির রিপোর্টের কপিও। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন, সবাইকে অন্ধকারে রেখে কেন এই সিদ্ধান্ত?

.