বর্ষায় ইলিশের দেখা নেই, ভরসা রেস্তোরাঁ
আকাশে মেঘ। নদীতে উজান। শ্রাবণের সপ্তাহখানেক গড়িয়ে গিয়েছে। তবু সেভাবে দেখা নেই তার। দেখা মিললেও, সে এতই মহার্ঘ, যে সাধ থাকলেও ঘরে আনা দায়। আবার সাধ্য যখন পকেটে কুলোয়, তখন তার স্বাদে রসনা ভরে না। তাই ভাল রুপোলি শস্যের সন্ধানে বাঙালি এখন রেস্তোঁরামুখী।
আকাশে মেঘ। নদীতে উজান। শ্রাবণের সপ্তাহখানেক গড়িয়ে গিয়েছে। তবু সেভাবে দেখা নেই তার। দেখা মিললেও, সে এতই মহার্ঘ, যে সাধ থাকলেও ঘরে আনা দায়। আবার সাধ্য যখন পকেটে কুলোয়, তখন তার স্বাদে রসনা ভরে না। তাই ভাল রুপোলি শস্যের সন্ধানে বাঙালি এখন রেস্তোঁরামুখী।
বাদলা দুপুরে ধোঁয়া ওঠা ভাত। পাতে সর্ষে লঙ্কা দিয়ে সাজানো ইলিশ। কিন্তু ইলিশ ভারী সেয়ানা। সে নিজের কদর বোঝে। তাই বর্ষা উধাও হতেই বাঙালির পাত থেকে তার বিসর্জন হয়ে যায়। কিন্তু সেই সুদিন আর নেই। ভরা বর্ষায় বাজারে গিয়েও মিলছে না পছন্দের ইলিশ। মোটা টাকা গরচা দিয়ে বাড়িতে যা ঢুকছে, তাতে ইলিশ খাওয়ার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় বটে, কিন্তু রসনার তৃপ্তি হয় না।
একারণেই ঘরোয়া রান্নার মায়া ছেড়ে, বাঙালি এখন রেস্তোঁরামুখী। তারা বুঝে গিয়েছে, দুর্মূল্যের বাজারে যেটুকু ভাল ইলিশ আসে, তা নামী রেস্তোঁরায় চলে যায়। তাই গুচ্ছের দাম দিয়ে ইলিশ খেতে হলে, রেস্তোঁরাতে যাওয়াই ভাল।