নিরাপত্তার গাফিলতি মেনে নিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে শিশুচুরির কথা স্বীকার করে নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও শিশুচুরির ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বেনিয়াপুকুর থানার পুলিস।

Updated By: Jan 14, 2012, 11:22 PM IST

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে শিশুচুরির কথা স্বীকার করে নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও শিশুচুরির ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বেনিয়াপুকুর থানার পুলিস। শিশুচোর ধরতে প্রসূতির বয়ানের ওপর ভিত্তি করে সন্দেহভাজনের স্কেচ আঁকাচ্ছে পুলিস।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গড়া পাঁচ সদস্যের কমিটির অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। প্রসুতি বিভাগে প্রধান, শিশু বিভাগের প্রধান, সহকারি সুপার, অতিরিক্ত সুপার ও হাসপাতাল সুপারকে নিয়ে গঠিত ওই তদন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী রিপোর্টে শিশু চুরির কথা কবুল করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি দিনভর নিরাপত্তাকর্মী, পুলিস কর্মী ও রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে নিরাপত্তায় গাফিলতির কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিস-দুতরফের নিরাপত্তাই ঢিলেঢালা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে রিপোর্টে।

পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনেক সময় রোগীর অতিরিক্ত আত্মীয় ভিতরে ঢুকতে চাইলে তারা ঝামেলা এড়াতে তাদের আটকায় না। রিপোর্টে অভিযোগ, যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাবের কথা বারবার স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিসকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চুরি যাওয়া শিশুর মা তানিশ ফতিমা জানিয়েছেন, শুক্রবার পেটে যন্ত্রণা শুরুর পর এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেওয়া ওষুধেই জ্ঞান হারান তিনি। তানিশ ফতিমার বয়ানের ওফর ভিত্তি করে সন্দেহভাজনের স্কেচ আঁকাচ্ছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও, তা দেখে কাউকে এখনও ধরা যায়নি। তবে দুই আয়া লতিকা প্রামাণিক ও রমা দে কে আটক করে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে।
অন্যদিকে শিশুচুরির প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর বাড়ির আত্মীয় ও কংগ্রেস সমর্থকেরা।

.